টানা পাঁচ হারের লজ্জা এড়াতে চায় অস্ট্রেলিয়া

টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ হারের পর নিজেদের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও তিন ম্যাচ সিরিজের শুরুটা হয়েছে হার দিয়ে। ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে স্টিভেন স্মিথের দল। টালমাটাল এই অবস্থার মধ্যে টানা পাঁচটি হারের লজ্জায় কিছুতেই পড়তে চাইছে না অস্ট্রেলিয়া।
ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুরু থেকেই ছিলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। প্রথম টেস্টে মাঠে নামলেই ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন দলের সেরা পেসার ডেল স্টেইন। তারপরও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পার্থ টেস্টে অসিদের ভরাডুবি ঘটেছে ১৭৭ রানের বিশাল ব্যবধানে। নিজেদের মাটিতে টেস্ট মৌসুমের কোন সিরিজের প্রথম ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়া হারের স্বাদ পেয়েছে দীর্ঘ ২৮ বছর পর। এখন টানা পাঁচটি হারের লজ্জা এড়ানোর জন্য আগামী শনিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে যে কোনো মূল্যে জিততে চায় স্বাগতিকরা। তবে কাজটা যে মোটেও সহজ নয়, সেটা শিষ্যদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কোচ ড্যারেন লেম্যান। অধিনায়ক স্মিথও স্বীকার করে নিয়েছেন যে, ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং; প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনেক উন্নতি করতে হবে তাঁদের।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া টানা চারটি টেস্ট হেরেছিল ভারতের বিপক্ষে চার বছর আগে। সে সময় বরখাস্ত করা হয়েছিল কোচ মিকি আর্থারকে। লেম্যানকে অবশ্য এখন পর্যন্ত আর্থারের মতো এমন চাপে পড়তে হয়নি। তবে প্রশ্ন উঠছে স্মিথের অধিনায়কত্ব নিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ তো বলেই বসেছেন যে, অসি অধিনায়ক স্মিথকে ‘কিছুটা উদভ্রান্ত’ দেখাচ্ছে।
দ্বিতীয় টেস্টের আগে ইনজুরি সমস্যাও সামাল দিতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। বিকল্প ভাবতে হবে শন মার্শ, অ্যাডাম ভোজেস, পিটার সিডলের মতো নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটারদের। মার্শের পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়া দলে দেখা যেতে পারে জো বার্নসকে। সিডলের পরিবর্তে আসতে পারেন জো ম্যানি। আর ভোজেস যদি ইনজুরি কাটিয়ে উঠতে না পারেন তাহলে দলে ডাকা হতে পারে ক্যালম ফার্গুসনকে।
পরিসংখ্যান অবশ্য ভরসা দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকদের। হোবার্টে এর আগে ১২টি টেস্ট খেলে মাত্র একটিতেই হারের মুখ দেখতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে।