মুম্বাইকে কোয়ালিফায়ারে তুলে স্বস্তিতে রোহিত

টানা হার দিয়ে শুরু আইপিএলের চলমান আসর। পরের গল্পটা সবার জানা। জয়ে ফিরে উড়তে থাকা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স নিশ্চিত করেছে প্লে-অফ। এরপর লখনৌ সুপার জায়ান্সকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার রাউন্ড। দুঃস্বপ্নের মতো শুরু নিয়ে ফাইনাল ডাকছে মুম্বাইকে। দলের এমন পথচলা নিয়ে স্বস্তিতে অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কোয়ালিফায়ারে উঠে সেই স্বস্তির কথাই জানালেন মুম্বাই অধিনায়ক।
পরিসংখ্যান যে কেবল সংখ্যামাত্র গতকাল রাতে সেটাই যেন প্রমাণ করল মুম্বাই। শেষ তিনবারের দেখায় লখনৌর কাছে হারা দলটিই কিনা সঠিক সময়ে নিল প্রতিশোধ। তুলে নিল দাপুটে এক জয়। কেন আইপিএলে সবচেয়ে সফল দল মুম্বাই, ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল রোহিত-যাদবরা। ৮১ রানের জয়ে জোরাল করল ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা।
গতকাল বুধবার (২৪ মে) চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ৮ উইকেটের বিনিমেয়ে স্কোরবোর্ডে ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় মুম্বাই। জবাবে সব উইকেট হারিয়ে ১০১ রানের বেশি করতে পারেনি লখনৌ।
জয়ের পর রোহিত জানান, সতীর্থদের ওপর আস্থা রেখেছিলেন তিনি। অধিনায়ক বলেছেন, ‘অনেকে না ভাবলেও আমি এই পর্যন্ত আসার কথা ভেবেছিলাম। আশা ছাড়িনি কখনও। আমরা নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছি। নিজেদের ঠিক ভাবে প্রয়োগ করতে পেরেছি।’
এলিমিনেটরে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে জয়ে তরুণ পেস বোলার আকাশ মাধওয়ালের প্রসঙ্গ তুলে মুম্বই অধিনায়ক বলেছেন, ‘গত মৌসুমে থেকেই আকাশ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। গত বছর সে নেট বোলার হিসাবে ছিল। ওর দক্ষতা সম্পর্কে তখনই আমাদের ধারণা তৈরি হয়েছিল। কী করতে পারে জানতাম। আগের বছর আকাশকে আমরা খেলাইনি। এ বার দলে নেওয়া হয়েছে। তার সুফল পাচ্ছি। আকাশকে নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমাদের দলের জন্য যারা প্রতিভা খুঁজে নিয়ে আসেন, তাঁদের ভূমিকার কথাও বলব। বেশ কয়েক জন প্রতিভাবান তরুণকে তারা খুঁজে নিয়ে এসেছেন। আগামী দিনে ওরা ভারতের হয়েও খেলতে পারে। যেমন আগেও কয়েক জন দেশের হয়ে খেলেছে।’
রোহিত আরও বলেছেন, ‘সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তরুণরা যাতে নিজেদের দলের অংশ মনে করতে পারে, তা নিশ্চিত করা। ওরা সবাই প্রচুর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছে। তবে আইপিএল অন্য রকম প্রতিযোগিতা। তাই ওদের স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়াই প্রথম লক্ষ্য থাকে আমার।’