জামাল-মার্টিনেজ ইস্যুতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ফুটবলারদের
এমিলিয়ানো মার্টিনেজের ১১ ঘণ্টার বাংলাদেশ সফর ফুটবল সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে তার দেখা হয়নি। দর্শকদেরও রয়েছে তাকে সামনে থেকে না দেখার আক্ষেপ। যে তালিকায় আছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরে অপেক্ষা করেও মার্টিনেজের সঙ্গে সাক্ষাৎ এর সুযোগ পাননি তিনি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে বাংলাদেশ দল ছিল ভারতের বেঙ্গালুরুতে। সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে দেশে ফিরেছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বিমানবন্দরে মার্টিনেজের সঙ্গে দেখা করার সুযোগটা নিতে গিয়েও বিষণ্ন মনে বাসায় ফিরেছেন। জামালের হয়ে জাতীয় দলের টিম অ্যাটেন্ডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন তাৎক্ষণিক আয়োজকদের অনুরোধ করলেও তাতে লাভ হয়নি।
একটি দেশের অধিনায়কের সঙ্গে এমন আচরণ দেখে ক্ষুব্ধ জাতীয় দলের স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘জামাল ভূঁইয়া দেশের ফুটবলের একমাত্র পোস্টার বয়। দেশের টানে উড়ে আসছেন সুদূর ডেনমার্ক থেকে। এসব গল্প দেশের প্রতিটি ফুটবলপ্রেমী মানুষের জানা। শুধু জানলো না প্রোটোকলে থাকা ব্যক্তিরা। শুধু চিনল না নিরাপত্তার দোহাইতে নিজ দেশের ক্যাপ্টেনকে অবমাননা করা মানুষগুলো।’
আবাহনীর অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার আরও জানান, ‘আপনার এমি মার্টিনেজকে চিনে স্বার্থকতা কী, যেখানে নিজ দেশের ক্যাপ্টেনকেই সম্মান জানাতে পারলেন না!’ জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার তকলিস আহমেদের ক্ষোভও কম নয়। তার কথায়, ‘নিজের দেশের ফুটবল অধিনায়ককে সম্মান দিতে পারেন না! আসুন আগে নিজের দেশের ক্যাপ্টেনকে সম্মান করি।’
জাতীয় দলের গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেলও ক্ষুব্ধ। তিনি বললেন সেই প্রচলিত কথা, ‘যেই দেশে গুণীজনদের সম্মান করা হয় না, সেই দেশে গুণীজন জন্মায় না!’
যদিও জামাল এর আগেই গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আসলে এয়ারপোর্টে অনেক লোক ছিল। হয়তো এ কারণে তার সঙ্গে দেখা হলো না। যদি আগে থেকে বলা থাকতো তাহলে হয়তো সম্ভব ছিল। দুর্ভাগ্য যে দেখা হলো না।’
বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো বলেন, ‘দেখা হলে কিছু টিপস নিতাম। বাংলাদেশে এলো দেখা হলো না। আর কখনো দেখা হবে কি না তাও জানি না। ফেডারেশনের মাধ্যমে আসলে বা ফেডারেশনে যোগাযোগ করলে হয়তো আমরা ফুটবলাররা সুযোগ পেতাম দেখা করার।’