ভারতের মাটিতে এবারের বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ধারণা করা হয়েছিল, রান বন্যার আসর হতে চলেছে এটি। ভারতের প্রতিটি ভেন্যুই বানানো হয়েছে ব্যাটিংবান্ধব করে। ব্যাটাররাও এর পূর্ণ ফায়দা নিয়েছেন। সেখানে বোলাররা অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন। এবারের বিশ্বকাপ বোলারদের জন্য ছিল ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। এরপরও নিজেদের মেলে ধরার চেষ্টা করেছেন তারা। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে গত ৫ অক্টোবর শুরু হয় বিশ্বকাপ। ভারতকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে গতকাল রোববার (১৯ নভেম্বর) শেষ হয়েছে বিশ্বকাপ। চলুন জেনে নেওয়া যাক আসর শেষে উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় সেরা পাঁচে কারা আছেন...

মোহাম্মদ শামি

মোহাম্মদ শামির কপাল খোলে হার্দিক পান্ডিয়ার চোটে। সেই সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগান ভারতীয় পেসার। মাত্র সাত ম্যাচ খেলে তুলে নেন ২৪ উইকেট। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পিচে রীতিমত আগুন ধরিয়েছেন। সাত উইকেট নিয়ে একাই ধসিয়ে দেন কিউইদের। আসরে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তিন ম্যাচে ফাইফার নিয়েছেন শামি। চার উইকেট নিয়েছেন এক ম্যাচে। গড় ১০.৭০, ইকোনমি রেট ৫.২৬।

অ্যাডাম জাম্পা

ভারতীয় উপমহাদেশের উইকেট সবসময় স্পিননির্ভর। পেসের চেয়ে এখানে স্পিন বেশি কার্যকর। বিশ্বকাপে উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় দুইয়ে আছেন একজন স্পিনার। অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ২৩ উইকেট। গড় ২২.৩৯, ইকোনমি রেট ৫.৩৬। কোনো ম্যাচে ফাইফার না পেলেও চার উইকেট পেয়েছেন তিন ম্যাচে।

দিলশান মাদুশাঙ্কা

শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ যাত্রা খুব মলিন হলেও বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন দিলশান মাদুশাঙ্কা। লঙ্কান পেসার ৯ ম্যাচে নিয়েছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ২১ উইকেট। গড় ২৫, ইকোনমি রেট ৬.৭০। ফাইফার ও চার উইকেট পেয়েছেন একটি করে ম্যাচে।

জসপ্রীত বুমরাহ

সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় চতুর্থ নাম জসপ্রীত বুমরাহ। ১১ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় এই পেসার। গড় ১৮.৬৫, ইকোনমি রেট ৪.০৬। ফাইফার না পেলেও চার উইকেট পেয়েছেন এক ম্যাচে। সাশ্রয়ী বোলারদের তালিকায়ও আছেন ওপরের দিকে।

জেরাল্ড কোয়েৎজে

বিশ্বকাপে বল হাতে বেশ সফল দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ পেসার জেরাল্ড কোয়েৎজে। দলকে ফাইনালে তুলতে না পারলেও আট ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন সেরা পাঁচে। তালিকার পঞ্চম স্থানে আছেন ২৩ বছর বয়সী এই তারকা। গড় ১৯.৮০, ইকোনমি রেট ৬.২৩। ফাইফার না পেলেও চার উইকেট নিয়েছেন এক ম্যাচে।