ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ

টেস্ট কিংবা টি-টোয়েন্টির দীর্ঘ বা সংক্ষিপ্ত সংস্করণ নয়, বাংলাদেশের প্রিয় সংস্করণ ওয়ানডে। দেশের ক্রিকেটের যতটুকু সাফল্য সেটির বেশির ভাগ এই সংস্করণেই। কিন্তু গত বছর দুয়েক প্রিয় সেই সংস্করণেও রং হারিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ খেলা ১০ ম্যাচের মধ্যে জিতেছে মাত্র দুটি ম্যাচে। এতে শঙ্কা তৈরি হয়েছে আগামী বছর অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা নিয়ে।
বিশ্বকাপে খেলার সমীকরণ মেলানোর লক্ষ্যেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরে সিরিজ খুইয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। সামনে এখন অপেক্ষা করছে কঠিন সমীকরণ।
২০২৭ সালে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা আট দল। এর বাইরে খেলবে স্বাগতিক তিন দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়া। এখন স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা যদি র্যাঙ্কিংয়ে সেরা আটের মধ্যে থাকে, তাহলে র্যাঙ্কিং বিবেচনায় বাড়বে আরও একটি দল। অর্থাৎ তখন র্যাঙ্কিংয়ের সেরা নয় দল খেলবে।
র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে ৭৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১০ নম্বরে। ৯ নম্বরে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের রেটিং পয়েন্ট ৮০। অন্যদিকে, ৮৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ড আছে ৮ নম্বরে। বাংলাদেশের যে ম্যাচ বাকি আছে এতে ৮ নম্বরের চিন্তা আপাতত মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। তবে সুযোগ আছে ৯ নম্বরে যাওয়ার। যদিও সেখানেও আছে শেষ পর্যন্ত যদি-কিন্তুর হিসাব।
র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে চলতি মাসে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই সিরিজে যদি ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করতে পারে, তাহলে ওঠে যাবে ৯ নম্বরে। এর ব্যতিক্রম হলে অবশ্য অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে যাবে বাংলাদেশের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলা।
এই সিরিজে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ করলেও এই হিসাব এখনই চুকিয়ে ফেলা যাচ্ছে না। কারণ, এরপর বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে সেই ম্যাচগুলোর দিকে। সেগুলোতে ক্যারিবিয়ানরা খারাপ করলেই কপাল খুলবে বাংলাদেশের। তবে এখনই নিশ্চিত করে ফেলা যাচ্ছে না চূড়ান্ত সমীকরণ।