সাগরিকায় ব্যাটিং বিপর্যয়, ফলো-অনে বাংলাদেশ
বেশ কয়েকদিন থেকেই ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের দৈন্যদশা। তরুণরা ভুগছেন ধারাবাহিকতার অভাবে, সিনিয়রদের কেউ কেউ হুট করে ছন্দহীন। ওয়ানডের পর এবার টেস্ট ক্রিকেটেও ব্যাটিং এখন বড় চিন্তার নাম। সিলেটের পর চট্টগ্রাম টেস্টেও ব্যর্থতার বৃত্তে লিটন-শান্তরা। তৃতীয় দিনে ফলো-অনে পড়ল স্বাগতিকরা।
আজ সোমবার (১ এপ্রিল) তৃতীয় দিনে ৬৮.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৭৮ রান তোলে বাংলাদেশ। এখনও পিছিয়ে ৩৫৩ রানে। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো।
লঙ্কানদের ছুড়ে দেওয়া ৫৩১ রানের সংগ্রহ তাড়ায় নেমে দিনের শুরুটা মন্দ হয়নি বাংলাদেশের। তাইজুল-জাকিরের দৃঢ়তায় প্রথম ঘণ্টায় কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। মাঝে ফিফটি তুলে নেন জাকির। কিন্তু এরপরই ছন্দপতন। দলীয় ৯৬ রানের মাথায় বিশ্ব ফার্নান্ডোর ইনসুইং ডেলিভারিতে কোনো জবাবই ছিল না জাকিরের, বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। আউটের আগে খেলেন ১০৪ বলে ৫৪ রানের ইনিংস। তার বিদায়ের পর খেই হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ১০১ রানে ফেরেন অধিনায়ক শান্ত। ১১ বল খেলে মাত্র ১ রান করেন তিনি।
এরপর আরেক ব্যাটার তাইজুলও ধরেন সাজঘরের পথ। দলীয় ১০৫ রানের মাথায় ফার্নান্ডোর বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ৬১ বলে ২২ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
লাঞ্চের পর আরও বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দ্রুতই ফেরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার সাকিব ও লিটন। দলীয় ১২৬ রানের মাথায় বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন সাকিব। ২৩ বলে ১৫ রানের বেশি আসেনি তার ব্যাট থেকে। সাকিবের বিদায়ের পর একই ওভারে ফেরেন লিটন। ৩ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এরপর মিরাজকে নিয়ে জুটি গড়েন মুমিনুল। এই জুটিও খুব একটা বড় হয়নি। দলীয় ১৬৫ রানের মাথায় জয়সুরিয়ার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মিরাজ। ৩১ বলে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এরপর লেজের সারির ব্যাটারদের নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন মুমিনুল। তবে, দলীয় ১৭৫ রানের মাথায় আসিথার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মুমিনুল। ৮৪ বলে ৩৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।