ওয়াংখেড়েতে মুম্বাইকে সহজে হারাল রাজস্থান
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। ঘরভর্তি দর্শকের সামনে আরও একবার ব্যর্থ হলো দলটি। ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বল হাতেও গড়তে পারেনি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা। টানা তৃতীয় ম্যাচে এসেও জয়ের মুখ দেখেনি মুম্বাই। সোমবার (১ এপ্রিল) রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে হার মানে ছয় উইকেটে।
ওয়াংখেড়েতে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন বোলাররা। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানে থামে মুম্বাই। জবাবে ১৫. ৩ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করে রাজস্থান।
মুম্বাইয়ের দেওয়া অল্প রানের লক্ষ্যে প্রথম ওভারে রাজস্থান তোলে ১০ রান। উইকেটও হারায় দলটি। ছয় বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার যশস্বী জাইসওয়াল। অপর ওপেনার জস বাটলারের ইনিংসটি অবশ্য ধীরগতির ছিল। ১৬ বলে ১৩ রান করে আকাশ মাধওয়ালের শিকার হন তিনি। মাধওয়ালের বলে বোল্ড হওয়ার আগে রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু করেন ১০ বলে ১২।
এরপর রিয়ান পরাগ টেনে নেন দলকে। মাঝে তাকে সঙ্গ দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ১৬ বলে ১৬ করে তিনিও পরিণত হন মাধওয়ালের শিকারে। তবে, পরাগ দাঁড়িয়ে যান একপ্রান্তে। ব্যাটিংয়ে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার শুভমান দুবেকে নিয়ে খেলেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস। অর্ধশতক তুলে পরাগ অপরাজিত থাকেন ৩৯ বলে ৫৪ রানে। পরাগের ইনিংস সাজানো ছিল পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কায়। দুবের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত আট রান।
মুম্বাইয়ের পক্ষে চার ওভারে ২০ রানে তিন উইকেট নেন মাধওয়াল। তবে, দলের জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।
এর আগে ব্যাট হাতে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারায় মুম্বাই। ট্রেন্ট বোল্টের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে সঞ্জুর হাতে ক্যাচ দেন রোহিত শর্মা। ফেরেন শূন্য হাতে। ওভারের শেষ বলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামান ধীরকে লেগ বিফোর করেন বোল্ট। অপর ওপেনার ইশান কিশান ১৪ বলে ১৬ রান করে নান্দ্রে বার্গারের শিকার হন।
মুম্বাইয়ের ইনিংসে মাত্র চারজন ব্যাটার দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন। ব্যাট হাতে এদিন রানের দেখা পান অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তার করা ২১ বলে ৩৪ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ। উযবেন্দ্র চাহালের স্পিনে আউট হন তিনি। ২৯ বলে ৩২ করা তিলক ভার্মাকেও ফেরান চাহাল। শেষ পর্যন্ত ১২৫ রানের মামুলি সংগ্রহ নিয়ে ইনিংস শেষ করে মুম্বাই।
রাজস্থানের পক্ষে চার ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে তিন উইকেট শিকার করেন চাহাল। এ ম্যাচে দলটি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। এ ছাড়া ২২ রানে তিন উইকেট নেন বোল্ট।