সুপার ওভার রোমাঞ্চে শেষ হাসি নামিবিয়ার
পুঁজি অল্প হলেও নামিবিয়াকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল ওমান। কিন্তু, ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় বেশকটি ক্যাচ মিস করে সেই সুযোগ লুফে নিতে পারেনি দলটি। শেষদিকে অবশ্য ওমানের বোলারদের নৈপুণ্যে খেলা সুপার ওভারে গড়ালেও নামিবিয়ার অভিজ্ঞতার সঙ্গে আর পেরে ওঠেনি মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। নামিবিয়ার ২১ রান তাড়া করতে নেমে ওমান আটকে যায় ১০ রানে।
আজ সোমবার (৩ জুন) ব্রিজটাউনে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১০৯ রান সংগ্রহ করে ওমান। জবাবে পুরো ওভার খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান তুলে নামিবিয়া। সুপার ওভারে নামিবিয়ার জয়ের নায়ক ডেভিড ভিসা। ৩৯ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে ৪ বলে তোলেন ১৩ রান। আর বল হাতে আটকে দেন ওমানের ব্যাটারদের।
১১০ রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নামিবিয়ার। এক রানের মাথায় মিচেলের উইকেট হারায় দলটি। জ্যান ফ্রাইলিঙ্ককে নিয়ে সেই চাপ সামাল দেন নিকোলাস ডেবিন। এই জুটিতে যোগ হয় ৪১ রান। দলীয় ৪২ রানের মাথায় নিকোলাসের বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় নামিবিয়া।
এরপর ৭৩ রানে অধিনায়ক এরাসমাসের বিদায়ের পর দ্রুত কয়েকটি উইকেট পড়লে পথ হারাতে শুরু করে তারা। শুরু থেকে প্রান্ত আগলে খেলতে থাকা জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক ৪৫ রানে ফিরলে পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়ায় আরও ভীতিকর। পরবর্তীতে আঁটসাঁট বোলিংয়ে নামিবিয়াকে চেপে ধরে ওমান।
যদিও শেষদিকে ডেভিড ভিসার লড়াইয়ে কোনো রকমে টাই করে ম্যাচটা সুপার ওভারে নিয়ে যায় নামিবিয়া। অবস্থা এমন ছিল শেষ বলে প্রয়োজন দুই রান। স্নায়ুর চাপে তখন দুই দল। মেহরান খানের ডেলিভারিটি ব্যাটে লাগাতে পারেননি ভিসা। বল কিপারের কাছে গেলেও তিনি বলটা গ্লাভসে জমাতে পারেননি। তখন কোনো দিক না তাকিয়ে টাই করার জন্য রান নিতে ছুটেন দুই নামিবিয়ান ব্যাটার। ওমান কিপার তখন স্টাম্প ভাঙার মতো বীরত্বও দেখাতে পারেননি।
এর আগে, টস জিতে বোলিংয়ে নেমে স্বপ্নের মতো শুরু পায় নামিবিয়া। প্রথম দুই বলেই উইকেট পান রুবেন ট্রাম্পেলম্যান। দুই বলে দুই উইকেট নেওয়ার পর ওই ওভারে তিন রান দেন ট্রাম্পেলম্যান। নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে আবার উইকেটের দেখা পান তিনি। এবার ফেরান ৬ বলে ৬ রান করা নাসিম খুশিকে। এবার অবশ্য মিড অফে ক্যাচ দেন নাসিম। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানে থামে ওমান।