নিষিদ্ধ হতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মার্শ
নামিবিয়ার বিপক্ষে দাপুটে জয়ে এরইমধ্যে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপপর্বে আর একটি ম্যাচ বাকি অসিদের। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। অসিদের বিপক্ষে জয় পেলেই শেষ আট নিশ্চিত হবে স্কটিশদের। সেই ম্যাচের আগে আলোচনায় অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মিচেল মার্শ। টুর্নামেন্টের মাঝপথে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন তিনি।
কি এমন করলেন, যে কারণে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন মার্শ। চলুন মূল ঘটনা জেনে নেওয়া যাক। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে এরপর হেরে খাদের কিনারে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, নিজেরা শেষ চার নিশ্চিত করায় অস্ট্রেলিয়ার সামনে তাই স্কটল্যান্ডকে তোলার একটা সুযোগ থাকছে। কারণ স্কটিশরা ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে অবস্থান করছে।
এমতবস্থায় অনেকেই ভাবছেন, এই ম্যাচে হয়তো অস্ট্রেলিয়া ইচ্ছা করে হারতেও পারে বা ধীরে খেলে রান রেটে স্টকল্যান্ডকে এগিয়ে দিতে পারে। যাতে ইংল্যান্ড ছিটকে যায় বৈশ্বিক এ আসর থেকে। আর এমনটা হলে বড় শাস্তি পাবেন অধিনায়ক মার্শ।
এই বিষয়ে আলোচনা শুরু হয় হ্যাজেলউডের কথায়। তিনি বলেছিলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে সামনে আবার হয়ত ইংল্যান্ডের সাথে দেখা হয়েই যেতে পারে। ওদের দিনে ওরা বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটা, আর এটা তো আলাদা করে বলার দরকার নেই যে এই ফরম্যাটে ওদের সাথে আমাদের একটু ধুঁকতেই দেখা গিয়েছে। তাই ওদের বিদায় জানানোর এই সুযোগটা লুফ নিলে তো আমাদের ভালো হবেই, বলা বাহুল্য অন্যদেরও তা কাজে দিবে।’
তবে এমন কিছু করলে আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের অভিযোগ আসতে পারে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ২.১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, আইসিসির কোনো ইভেন্টে কোনো দল যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কৌশল গ্রহণ করে, যেটি অন্য দলের অবস্থান বদলানোর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে তাহলে সেটি অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হবে। জোর করে নেট রান রেটের ওপর প্রভাব ফেললেও সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। যদিও আম্পায়াররা ঠিক কী দেখে এমন অভিযোগ আনবেন, সেটি নিশ্চিত নয়।