রাজশাহীকে ডুবিয়ে জয়ে ফিরল চট্টগ্রাম
ব্যাট হাতে দারুণ শতকে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন উসমান খান। প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করা চট্টগ্রাম কিংসকে এনে দিয়েছিলেন দুইশ ছাড়ানো পুঁজি। বল বাকি কাজ সারলেন শরিফুল-আরাফাত সানিরা। দুই বিভাগের দাপটে দুর্বার রাজশাহীকে ডুবিয়ে আসরে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম কিংস।
বিপিএলের সপ্তম ম্যাচে রাজশাহীকে ১০৫ রানে হারিয়েছে চট্রগ্রাম। এই জয়ে পয়েন্টের খাতা খুলল কিংসরা। দুই ম্যাচে এক জয়ে তাদের পয়েন্ট হলো দুটি। অন্যদিকে তিন ম্যাচে সমান এক জয়ে রাজশাহীরও সংগ্রহ দুই পয়েন্ট।
ঢাকায় বিপিএলের প্রথম পর্বের শেষ দিন আজ শুক্রবার। সিলেটে বিপিএল যাওয়ার আগে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে রাজশাহীর বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেটে ২১৯ রান তুলেছে চট্টগ্রাম।
জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারের আগেই ১১৪ রানে থেমে যায় রাজশাহীর ইনিংস। বড় লক্ষ্য তাড়ায় রাজশাহীর কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দলের হয়ে একমাত্র ৩০ ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন মোহাম্মদ হারিস। ওপেনিংয়ে নেমে ১৫ বলে ৩২ রান করেন তিনি। বাকিরা সবাই মোটামুটি ব্যর্থ ছিলেন। আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে দারুণ করা এনামুল হক বিজয় পারেননি থিতু হতে। ৯ বলে ৮ রান করে বিদায় নেন তিনি। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় জয় তো দূরে লড়াইও জমাতে পারেনি দুর্বার রাজশাহী।
এর আগে এদিন রাজশাহী টস জিতে এদিন বেছে নেয় ফিল্ডিং। আগে বোলিং করতে নেমে শুরুটাও দারুণ করে তারা। প্রথম ওভারেই তাসকিন আহমেদ ফিরিয়ে দেন পারভেজ হোসেন ইমনকে। তাসকিনের পেস তোপে রানের খাতাও খুলতে পারেননি ইমন।
শুরুর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় চট্টগ্রাম। উসমান খান ও ক্লার্ক মিলে দ্বিতীয় জুটিতে গড়ে তোলেন ১২০ রানের জুটি। দলীয় ১২১ রানে ক্লার্কের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। সোহাগ গাজির বলে হাসান মুরাদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৪০ রান করেন ক্লার্ক।
ক্লার্ক ফেরার পর মিঠুনকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন উসমান। তার মাঝে ৪৮ বলে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন চট্টগ্রামের ওপেনার। মিঠুন ২৮ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলে তিনিই দলকে নিয়ে যান দুইশর ঘরে। তিনি ফিরে গেলে চট্টগ্রাম থামে ২১৯ রানে। দলের হয়ে শতক করা উসমান খেলেছেন ১২৩ রানের ইনিংস। ৬২ বলে যা সাজানো ছিল ১৩ চার ও ছয় ছক্কায়।
দুর্বার রাজশাহীর হয়ে বল হাতে ২২ রান খরচায় দুই উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। সমান একটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, সোহাগ গাজী ও রায়ান বার্ল।