মুশফিকের বিদায়ে চাপ বাড়ল বরিশালের
ফাইনাল হবে রানবন্যার, দর্শকদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। ১৯৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দারুণ শুরু করেছিল বরিশাল। তবে, দ্রুতই তামিম, মালান, হৃদয় ও মুশফিকের মতো ব্যাটারকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে দলটি। সেই চাপ সামালের চেষ্টায় অভিজ্ঞ কাইল মায়ার্স ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জয়ের জন্য শেষ ৬ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ৫৮ রান। ৯ বলে ১৬ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে।
তামিমের পর মালানের বিদায়
দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও তাওহিদ হৃদয় মিলে গড়েন ৭৬ রানের ইনিংস। শরিফুলের ওভারে তামিম ইকবালের পর বিদায় নিলেন আরেক ব্যাটার ডেভিড মালান। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছে বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ২ বলে ১ রান করেন মালান। ২৯ বলে ৫৪ রান আসে অধিনায়ক তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। তবে মুশফিক-মায়ার্সের ব্যাটে সেই চাপ সামলে এগিয়ে যাচ্ছে বরিশাল।
বরিশালের উড়ন্ত শুরু, তামিমের ফিফটি
১৯৫ রানের লক্ষ্য দেখে ভক্তদের কেউ কেউ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেও তামিম-হৃদয় জুটিতে তাও এখন বড্ড কম মনে হচ্ছে। মাত্র ৭ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৭০ রান তুলেছে ফরচুন বরিশাল। ২৪ বলে ফিফটি পূরণ করেছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সবমিলিয়ে দারুণ অবস্থায় আছে বরিশালও। এভাবে খেলতে থাকলে এই রান তাড়া খুব একটা কঠিন হবে না বরিশালের জন্য।
পারভেজ-নাফের পঞ্চাশ চিটাগংয়ের রান পাহাড়
দুইশ রানের আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত ততদূর যেতে পারল না চিটাগং কিংস। তবে পারভেজ হোসেন ও খাওয়াজা নাফের পঞ্চাশে বড় সংগ্রহই গড়েছে তারা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৯৪ রান করেছে চিটাগং। বিপিএলের ফাইনালে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ। শিরোপা ধরে রাখতে হলে ফরচুন বরিশালকে টপকে হবে রান পাহাড়, গড়তে হবে রান তাড়ার রেকর্ড। বিপিএলের ফাইনালে দুইশ রান তাড়ার কীর্তি নেই একটিও। ২০২৩ সালে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ১৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জিতে শিরোপা ঘরে তুলেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
ইমন-নাফের ফিফটি, বড় সংগ্রহের পথে চিটাগং
মাঠের ক্রিকেটে ছিল রান উৎসব, দর্শকদের চাহিদা ছিল আকাশছোঁয়া, সমালোচনার পাশাপাশি বাইশ গজের লড়াই নিয়ে আলোচনাও ছিল অনেক। অবশেষে ফাইনালের মহারণ দিয়ে পর্দা নামছে বিতর্কিত বিপিএলের। মেগা ফাইনালে ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করেছে চিটাগং। কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ ওভারে ৯৩ রান তোলে চিটাগং। এরইমধ্যে ফিফটি তুলে নিয়েছেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও খাজা নাফে। এই দুইজনের ব্যাটে এরইমধ্যে একশ পেরিয়ে ছুটছে চিটাগং।
ফাইনালে ব্যাট হাতে দারুণ শুরু চিটাগংয়ের
আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার খাজা নাফে ও পারভেজ হোসেন ইমন মিলে দারুণ শুরু করেন। প্রথম চার ওভারে স্কোরবোর্ডে ৪০ রান তুলেছে মোহাম্মদ মিথুনের দল। বরিশালের কোনো বোলার তাদের সামনে পাত্তাই পাননি।
টস জিতে বোলিংয়ে বরিশাল
মেগা ফাইনালে টস জেতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টস ভাগ্যে বরিশালের। অধিনায়ক তামিম টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ফাইনাল খেলার জন্য উড়িয়ে আনা হলেও একাদশে রাখা হয়নি কিজই তারকা জিমি নিশামকে। অন্যদিকে, চিটাগং কিংসের জন্য দুঃসংবাদ এই ম্যাচের একাদশে নেই আলিস আল ইসলাম। যিনি গত ম্যাচে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন। তাই তার না থাকাটা চিটাগংয়ের জন্য বড় ধাক্কা বটে।
বরিশালের দ্বিতীয় নাকি চিটাগংয়ের প্রথম
চিটাগংয়ের চ্যালেঞ্জ এক যুগ আগের সেই অধরা কাজটা সম্পন্ন করে প্রথমবারের মতো বিপিএল ট্রফি জেতা। ২০১৩ সালের বিপিএলে ফাইনালে উঠলেও ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কাছে হেরে রানার আপ হয়েই থামতে হয় তাদের। মাঝের আসরগুলোতে তাদের বদলে চট্টগ্রাম থেকে ভিন্ন ভিন্ন আসরে খেলেছে ভিন্ন দুটো দল; চিটাগং ভাইকিংস ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স নামে। এই দুই দলও ঘুচাতে পারেনি চট্টগ্রামের শিরোপা খরা। দুই দলের ভিন্ন দুই চ্যালেঞ্জ হলেও মূল লক্ষ্য শিরোপা জেতা।
আসরজুড়ে বেশ ধীরস্থির-গোছানো ক্রিকেট খেলে এসেছে বরিশাল। সরাসরি চুক্তি আর ড্রাফট মিলিয়ে দেশি-বিদেশি তারকাদের সমন্বয়ে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়েছিলেন তামিম ইকবালরা। যেখানে শাহীন শাহ আফ্রিদির মতো বিদেশি তারকা খেলে গেছেন, ডাভিড মালান, মোহাম্মদ নবী, ফাহিম আশরাফ, কাইল মায়ার্সরা দারুণ অবদান রেখেছেন দলের ফাইনাল পর্যন্ত যাত্রায়। সাথে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, নাজমুল হোসেন শান্তর মতো স্থানীয় তারকারা তো ছিলেনই। আর সবার ওপরে তামিম ইকবালের অধিনায়কত্ব, পুরো দলটাকে এক সুতোয় গেঁথেছেন, বের করে এনেছেন সেরাটা। ফাইনালেও দারুণ কিছু করতে মরিয়া তারা।