অপ্রত্যাশিত ব্যাটিং বিপর্যয় নিয়ে যা বললেন তাসকিন

প্রেমাদাসায় ভালো একটা শুরুর পরও ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে সহজ ম্যাচটা হেরে গেছে বাংলাদেশ। দলের এই শোচনীয় অবস্থার জন্য সমালোচিত হচ্ছেন পুরো দল। সমর্থকদের মতো পেসার তাসকিন আহমেদের কাছেও যা ছিল অবিশ্বাস্য।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন আহমেদ জানান, তিনি ড্রেসিংরুমে বসে কফি খাচ্ছিলেন। এর মাঝেই হঠাৎ করে বাংলাদেশের পাঁচ উইকেট নাই হয়ে গেছে।
চোট কাটিয়ে চার মাস পর দলে ফিরে শুরুটা দারুণ করেছিলেন তাসকিন। ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন, এর মাঝে দুটি মেডেন ওভার দিয়েছেন। কিন্তু ব্যাটিং বিপর্যয়টাকে ঠিকভাবে মানতে পারছেন না যেন তিনি।
হতাশার কণ্ঠে তাই তাসকিন বলেন, ‘ভালো বল করেছি, আরও ভালো করা যেত। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভালো শুরুর পরও ৫ রানে ৭ উইকেট হারানো অপ্রত্যাশিত। এটা হওয়া ঠিক হয়নি। ওদের যে অবস্থা ছিল, তার চেয়ে ৩০–৪০ রান কমে অলআউট করতে পেরেছি। আশা করছিলাম ৫–৭ ওভার আগেই জিতে যাব। ওই বিপর্যয়টা বড় ক্ষতি করেছে। খুবই দুঃখজনক।’
কলম্বোতে ২৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ১০০ রান থেকে ১০৫ রানে ৮ উইকেট হারায়। নাজমুল হোসেন শান্ত ও তানজিদ তামিম দুইজন উইকেটে থিতু হয়ে জয়ের দিকেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। এই দুজনের উইকেট হারানোর পর বিপর্যয়টা নেমে আসে। বাংলাদেশ হেরে যায় ৭৭ রানে।
শান্ত ও তানজিদ আউট হওয়ার পর যা হয়েছে তাকে অপ্রত্যাশিত মনে করেন তাসকিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দুই জন সেট ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়ায় কিছুটা আতঙ্কিত হয়েছে। এরপর যে আউটগুলো হয়েছে, কিছুটা অপ্রত্যাশিত ছিল। যেভাবে আউট হয়েছি, এতটা বাজে দল আমরা নই। ওই বিপর্যয়টার জন্যই হেরে গেলাম।’
মিডল অর্ডারের এই শোচনীয় অবস্থার মধ্যেও জাকের আলী ৬৪ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেছেন। তাসকিনের আফসোস যে জাকেরকে কেউ সঙ্গ দিতে পারলেও হয়ত ম্যাচটি বের হয়ে আসতো। তিনি বলেন, ‘জাকের দারুণ ব্যাটিং করেছে। ওর সঙ্গে আরও ব্যাটসম্যান থাকলে আমরা জিততে পারতাম। ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি, এটা স্বীকার করতেই হবে। ২–৩ জনের ব্যাটিং দেখে মনে হয়নি উইকেট বাজে ছিল। আমাদের ব্যর্থতা আছে।’