সিরিজ বাঁচাতে বাংলাদেশের দরকার ১৯১ রান

বোলিংয়ে শুরু থেকেই আফগানদের চেপে ধরে তানজিম সাকিব-তানভীর ইসলামরা। সেই ধারা অব্যাহত রাখেন মিরাজ-রিশাদরা। স্পিন ঘূর্ণির সঙ্গে সঙ্গে সাকিবের পেস আগ্রাসন—এই দুইয়ে মিলে আফগানদের দুইশ পেরোনোর আগেই আটকে দিয়েছে টাইগার বোলাররা। এবার দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটারদের।
আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৪.৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়েছে আফগানিস্তান। সিরিজ বাঁচাতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৯১ রান।
টস হেরে বোলিংয়ে নেমে আফগান ব্যাটারদের খুব একটা সুবিধা করতে দেয়নি বাংলাদেশ। নিয়মিত ধারায় উইকেট তুলে নিয়েছে টাইগার বোলাররা। আফগান শিবিরে প্রথম আঘাতটা হানেন পেসার তানজিম সাকিব। পঞ্চম ওভারে ১১ বলে ১১ রান করা রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ফেরান তিনি। এরপর তিনে নামা সেদিকুল্লাহ অটলকে দ্রুতই ফিরিয়ে দেন তানভীর ইসলাম।
১৫ ওভারে বাংলাদেশের জন্য স্বস্তি হয়ে আসে রহমত শাহর চোট। ১১ বলে ৯ রান করে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্রুতই আরও দুই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। ৪ বলের ব্যবধানে ফেরান অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদি (১২ বলে ৪) আর আজমতুল্লাহ ওমরজাইকে (৩ বলে ০)।
এরপর উইকেটে এসে থিতু হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন মোহাম্মদ নবী। নবীর চেষ্টা সফল হতে দেননি সাকিব। ৩০ বলে ২২ রান করা আফগান অলরাউন্ডারকে ফেরান তিনি। পরে দ্রুতই বিদায় নেন নানগেইয়ালা খারোটি (২৪ বলে ১৩) ও রশিদ খান (২ বলে ১)।
বাকিদের যাওয়া-আসার ভিরে একপ্রান্ত আগলে রেখে বাংলাদেশের বোলারদের আক্ষেপ হয়ে ছিলেন ওপেনার ইব্রাহীম জাদরান। সেঞ্চুরির অনেকটা কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন তিনি। তবে তাকেও সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে ফিরিয়েছেন মিরাজ। ১৪০ বলে ৯৫ রান করে রিশাদকে ক্যাচ দেন তিনি।
এরপর হাত খুলতে থাকা গজনফারকে ফিরিয়ে দেন রিশাদ। চোট নিয়ে মাঠ ছাড়া রহমত আবারও ফিরলেও মাত্র একবল খেলে আবারও চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। আফগানদের ইনিংস শেষ হয় ১৯০ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান : ৪৪.৫ ওভারে ১৯০/৯ (গুরবাজ ১১, জাদরান ৯৫, সেদিকুল্লাহ ৮, হাসমতুল্লাহ ৪, ওমরজাই ০, নবী ২২, খারোটি ১৩, রশিদ ১, গজনফার ২২, রহমত ৯৮, বশির ০*; সাকিব ৭-০-৩৫-২, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৮-০, মিরাজ ১০-১-৪২-৩, তানভীর ১০-০-৩৫-১, রিশাদ ৯.৪-০-৩৭-২)