উইন্ডিজদের ২৯৭ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
মন্থর উইকেটে প্রথম দুই ম্যাচে রান করতে সংগ্রাম করেছে ব্যাটাররা। দুটি ম্যাচই হয়েছে লো স্কোরিং। কালো মাটির অভিন্ন উইকেট আজ চরিত্র বদলেছে। বাংলাদেশি ব্যাটাররা খেলেছেন হাত খুলে। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে বাংলাদেশ করেছে ২৯৬ রান।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান মিলে ভেঙেছেন ২৬ বছরের পুরোনো রেকর্ড।
১৯৯৯ সালে শাহরিয়ার হোসেন ও মেহরাব হোসেন মিলে জাতীয় স্টেডিয়াম ঢাকায় গড়েছিলেন ১৭০ রানের জুটি। সেটি মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সৌম্য-সাইফ মিলে গড়েছেন ১৭৬ রানের জুটি। ২৫.২ ওভারে দুজনের গড়া জুটি বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে মিরপুরে সর্বোচ্চ।
৭২ বলে সমান ৬টি করে চার ও ছক্কায় ৮০ রান করে সাইফ আউট হন। রোস্টন চেজের বলে লং অনে ক্যাচ নেন জাস্টিন গ্রিভস। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে বিদায় নেন সৌম্য। আকিল হোসেনের বলে ডিপ মিড উইকেটে আকিম অগাস্টের হাতে ধরা পড়েন সৌম্য। এর আগে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৮৬ বলে ৯১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন।
দুই ওপেনার বিধ্বংসী ব্যাটিং করলেও তাওহিদ হৃদয় এদিনও ছিলেন ধীর। যেন ব্যাট করতে সংগ্রাম করছেন তিনি। অ্যালিক আথানেজের শিকার হওয়ার আগে ৪৪ বলে ২৮ রান করেন হৃদয়। শুরুতে দেখেশুনে খেলা নাজমুল হোসেন শান্ত শেষ দিকে চড়াও হন ক্যারিবীয় বোলারদের ওপর। তিন ছক্কায় ৫৫ বলে ৪৪ রান করে আথানেজের দুর্দান্ত ডাইভিং ক্যাচে পরিণত হন।
হঠাৎ খেই হারায় বাংলাদেশ। একটা সময় মনে হচ্ছিল দলীয় সংগ্রহ ৩০০ ছাড়িয়ে আরও দূর যাবে, সেখান থেকে বাংলাদেশ উল্টো উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নামে। আকিল হোসেনের করা ৪৬তম ওভারে একে একে সাজঘরে ফেরেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রিশাদ হোসেন ও নাসুম আহমেদ। আগের দুই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা রিশাদ ফেরেন ৩ রানে। অঙ্কন ১০ ও নাসুম করেন ১ রান।
অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ও নুরুল হাসান সোহান মিলে সংগ্রহ ৩০০-র কাছাকাছি নিয়ে যান। দুজনের ২৪ বলের জুটিতে এসেছে ৩৫ রান। শেষ বলে আউট হওয়া মিরাচ করেন ১৭ বলে ১৭ রান। একটি করে চার ও ছক্কায় সোহান অপরাজিত থাকেন ১৬ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আকিল নেন ৪ উইকেট। আতানেজ দুটি এবং গুরাকেশ মোতি ও রোস্টন চেজ পান একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ২৯৬/৮ (সাইফ ৮০, সৌম্য ৯১, হৃদয় ২৮, শান্ত ৪৪, মাহিদুল ৬, রিশাদ ৩, নাসুম ১, মিরাজ ১৭, সোহান ১৬*; আকিল ১০-১-৪১-৪, পিয়েরে ১০-০-৪৬-০, গ্রেভস ৭-০-৬১-০, আথানেজ ৭-০-৩৭-২, চেজ ৮-১-৫৩-১, মোতি ৮-০-৫৩-১)

ক্রীড়া প্রতিবেদক