ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার অপেক্ষায় নারী বিশ্বকাপ
এক মাসের কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামীকাল রোববার (২ নভেম্বর) রাতে এই দুই দেশের মধ্যে থেকেই নতুন এক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দেখবে নারী ক্রিকেট। যারাই শিরোপা জিতবে, এটি হবে প্রথমবারের মতো সেরাদের সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের এটিই প্রথম ফাইনাল, যেখানে নেই অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের কেউ।
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দেওয়া ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা এখন ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। বিজয়ী দল কেবল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফিই জিতবে না, বরং তাদের নিজ নিজ দেশে নারী ক্রিকেটের ভবিষ্যতকে নতুন করে সাজিয়ে দিতে পারে।
দুটি দেশই নারীর শিক্ষা ও কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার পথে থাকা গভীর সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে। ম্যাচের ফলাফল যা-ই হোক না কেন, এই ফাইনাল ক্রিকেটারদের নিজ দেশের ঘরে ঘরে পরিচিত করে তুলবে।
নাভি মুম্বাইয়ে যে ম্যাচটি হতে চলেছে, তা ওয়ানডে ক্রিকেটে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে যেমনটা প্রমাণিত হয়েছিল, তেমনি এই ফাইনালও দেখিয়ে দেবে যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা সবসময় অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের দখলেই থাকবে না। টেবিলের তিন ও চার নম্বরে শেষ করা দলগুলোও যে নকআউটে নিজেদের সেরাটা দিতে পারে, তা প্রমাণিত।
ফাইনালের এই মহারণে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুধুমাত্র ৩০ হাজারের বেশি দর্শকের বিপক্ষে খেলার চ্যালেঞ্জই নয়, নাভি মুম্বাইয়ের কন্ডিশনের সঙ্গেও মানিয়ে নিতে হবে, যেখানে তারা এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ খেলেনি।
ভারতের জন্য এটি ঘরের মাঠে টানা চতুর্থ ম্যাচ এবং এই ভেন্যুতে তারা এখনও অপরাজিত। তবে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের পর ভারতের হাতে যেখানে নিজেদের তৈরি করার জন্য অল্প সময় রয়েছে, সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার জন্য কিছুটা বেশি সময় পেয়েছে।
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে এর আড়ে দুবার ফাইনাল খেলেছে ভারত। ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে এবং ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ব্লু-আর্মিদের। দক্ষিণ আফ্রিকা এবারই প্রথম ফাইনাল খেলছে। ম্যাচটি তাই নিঃসন্দেহে দুদলের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

স্পোর্টস ডেস্ক