আবারও টেস্টের নেতৃত্ব শান্তর কাঁধে
গত জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে অনেকটা অভিমানেই অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। মাঝের সময়ে আর কোনো টেস্ট খেলেনি বাংলাদেশ। চলতি মাসে টেস্ট খেলতে আসবে আয়ারল্যান্ড। এর আগে টেস্ট অধিনায়কের নাম ঘোষণা করল বিসিবি।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানিয়েছে, টেস্টের অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন শান্ত। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৫-২৭ চক্রের পুরোটা সময়ই তিনি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন।
নতুন করে টেস্টের অধিনায়কত্ব পাওয়া শান্ত বলেন, ‘বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্ব চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি। টেস্ট ক্রিকেটে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে গর্বের বিষয়। বোর্ড আমার অধিনায়কত্বে যে বিশ্বাস ও আস্থা দেখিয়েছে, তার জন্য আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’
বিসিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল মনে করেন, শান্তর নেতৃত্ব গুণ দলের উন্নতিতে ছাপ ফেলেছে এবং অধিনায়ক হিসেবে মাঠে তার উপস্থিতি দলকে অনুপ্রাণিত করে।
বুলবুল বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে তার ধৈর্য, প্রতিশ্রুতি এবং ভালো বোঝাপড়া আছে। তার নেতৃত্বে আমরা দলের মধ্যে উন্নতি ও আত্মবিশ্বাস লক্ষ্য করেছি। বোর্ড মনে করে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা আমাদের নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে ভালোভাবে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’
এর আগে বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়ক ছিলেন শান্ত। ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেওয়ার কথা বলে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান শান্ত। অন্যদিকে, চলতি বছরের জুনে হঠাৎ করেই শ্রীলঙ্কা সফরের আগে ওয়ানডে ফরম্যাটের নেতৃত্ব দেওয়া হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে।
সেই ঘোষণার পরে লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে শান্ত বলেন, আমি আর টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব করছি না। সেখানে আনুষ্ঠানিক কোনো কারণ না বললেও, ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরানোতেই যে তিনি টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন—সেটি অনেকটাই প্রতিষ্ঠিত ছিল।
শান্তর নেতৃত্বে ১৪ টেস্টে বাংলাদেশের জয় চারটি, হার ৯টি ও ড্র একটি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্জন, গত বছর পাকিস্তান সফরে তাদের হোয়াইটওয়াশ করা।

স্পোর্টস ডেস্ক