সিলেট টেস্ট
৩০১ রানে এগিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা বাংলাদেশের
সিলেট টেস্টে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনের শুরুতেই ইনিংস ঘোষণা করল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশর সংগ্রহ ১৪১ ওভারে ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান। ৩০১ রানের বড় লিড পেয়েছে টাইগাররা, যেটি প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লিড। এর আগে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুরে ৩৯৭ রানের লিডটি ছিল সর্বোচ্চ।
এর আগে দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ করে ১৩৮ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫৭৫ রান। চা বিরতির ব্যাটিংয়ে নেমে অস্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৪০ তম ওভারে চতুর্থ বলে হামফ্রিসকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন হাসান মুরাদ। ২৬ বলে ১৬ রান করেন তিনি। আর তাকে আউট করে আইরিশ বোলার হামফ্রিস ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ৫ উইকেটের দেখা পেলেন। এরপর স্কোরবোর্ডে আর ৫ রান যোগ করেই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন : মুশফিককে হারিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ
দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দেখা পেয়েছেন সেঞ্চুরির। টেস্ট ক্যারিয়ারে অস্টম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন শান্ত, চলতি বছরে এটি তার তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। ১২৯ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ২ রান নিয়ে শতরান পূর্ণ করেন তিনি।
এরপর উইকেটে টিকতে পেরেছেন এক বল। ম্যাকব্রাইনের করা এই ওভারের চতুর্থ বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন শান্ত। ১১৪ বলে ১৪ চারে ১০০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
১২৪ তম ওভারের প্রথম বলে ফিরেন লিটন দাস। টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৯তম ফিফটি পেয়েছেন তিনি। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার ওয়ানডে মেজাজে ৬৬ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৬০ রান করে ফিরেছেন। স্পিনার হামফ্রিসের বলে লং অনে হ্যারি টেক্টরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।
এরপর উইকেটে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শান্তর ফেরার পর তিনি বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। হামফ্রিসের করা ১৩৪ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মিরাজ। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ রান।
আরও পড়ুন : তৃতীয় দিনের শুরুতেই আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন জয়-মুমিনুল
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) টেস্টের তৃতীয় দিনে প্রথম সেশনে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে যোগ করেছে ১১১ রান। লাঞ্চ বিরতির আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১১১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৪৭ রান।
তৃতীয় দিনের শুরুতেই দুই সেট ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনের দ্বিতীয় ওভারেই ম্যাকব্রাইনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন জয়। ২৮৬ বলে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৭১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। ১৭১ রানের এই ইনিংসটি জয়ের ক্যারিয়ার সেরা। এর আগে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল ১৩৭ রানের।
৮৬.৩ ওভারে আউট হন জয়। এরপর মাঝে একটি ওভার টিকতে পেরেছেন আগের দিন অপরাজিত থাকা মুমিনুল। ৮৮.১ ওভারে ম্যাকব্রাইনের বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। ১৩২ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৮২ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
এরপর ৫২ বলে ৩ চারে ২৩ রান করে ফিরেছেন মুশফিক। ১০৫.২ ওভারে বাঁহাতি স্পিনার হামফ্রিসের বলে গালিতে থাকা ফিল্ডার বলবার্নির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।
সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯২.২ ওভারে ২৮৬ রানেই শেষ হয় আইরিশদের প্রথম ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
আয়ারল্যান্ড (প্রথম ইনিংস) : ৯২.২ ওভারে ২৮৬ (বালবির্নি ০, স্টার্লিং ৬০, কারমাইকেল ৫৯, টেক্টর ১, ক্যাম্ফার ৪৪, টাকার ৪১, ম্যাকব্রাইন ৫, নেইল ৩০, ম্যাককার্থি ৩১, হামফ্রেস ০, ইয়ং ০*; হাসান মাহমুদ ১৩.২-৪-৪২-২, নাহিদ ১৪-০-৬৫-১, তাইজুল ২২-৬-৭২-২, হাসান মুরাদ ২০-৫-৪৭-২, মিরাজ ২৩-৬-৫০-৩)
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস) : ১৪১ ওভারে ৫৮৭/৮ ডিক্লেয়ার (সাদমান ৮০, জয় ১৭১, মুমিনুল ৮২, শান্ত ১০০, মুশফিক ২৩, লিটন ৬০, মিরাজ ১৭, মুরাদ ১৭, হাসান ১৩*, নাহিদ ৪*; ম্যাককার্থি ১৭-৩-৭২-২, ইয়ং ১২-০-৫৪-০, ম্যাকব্রাইন ৩৯-৬-১৪১-১, নেইল ১১-০-৬০-০, হামফ্রিস ৪৩-১-১৭০-৫, ক্যামফার ১০-০-৪৫-০, টেক্টর ৯-১-৩১-০)

স্পোর্টস ডেস্ক