বাচ্চারাও এই ভুল করবে না : আকবর
রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের সেই ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে সহজ ম্যাচও কঠিন করে জিতেছিল বাংলাদেশ। এমনকি হারের শঙ্কাও তৈরি করেছিল।
সেমিফাইনালে ভারতের জয়ের জন্য শেষ বলে প্রয়োজন ছিলো চার রান। সেই বলে লংঅফে খেলেছিলেন ভারতীয় ব্যাটার। সেখানে ফিল্ডার ছিলো। ফলে দৌঁড়ে ২ রানের বেশি নেওয়া সম্ভব ছিলো না। এতেই ম্যাচ জিতে যেতো বাংলাদেশ। কিন্তু সেই অবস্থায় আকবর আলীর স্টাম্পের কাছে থেকে ওভার থ্রো থেকে তিন রান নিয়ে ম্যাচ ড্র করে ভারত।
টুর্নামেন্ট শেষে গতরাতে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ। এরপর বিমানবন্দরে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন আকবর। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, যে ভুল করেছেন তিনি, সেটি বাচ্চারাও করে না।
আকবর বলেন, ‘আসলে ওই মুহূর্তে কী হয়েছে আমি নিজেও জানি না, ওটা কেন করেছি এটার আসলে কোনো ব্যাখ্যাও নেই আমার কাছে। ওটা আসলে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অবশ্যই যেই ভুলটা আমি করেছি ওটা মানে একদম আমি বলব যে, অনূর্ধ্ব-১২ এর বাচ্চাদেরও ভুল না।’
এরপর আকবর যোগ করেন, ‘তো আসলে আমি এটাই বললাম যে এটার কোনো ব্যাখ্যা নেই আসলে আমার কাছে। তো আমার কাছে মনে হয়েছে যে আমি একটা ভুল করেছি এবং সরি বলেছিলাম ম্যাচ শেষে সবাইকে।’
এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল দুই ম্যাচেই সুপার ওভার খেলেছে বাংলাদেশ। সাধারণত ক্রিকেটে এমন দেখা যায় না। যেটা দেখে কিছুটা অবাক হয়েছিলেন অধিনায়ক আকবর নিজেও।
সুপার ওভার নিয়ে আকবর বলেন, ‘আমার মনে হয় না, সুপার ওভারে কোনো দল অভ্যস্ত থাকে। কারণ সুপার ওভার হয়ই কালেভদ্রে। এটা খুবই বিরল যে আমরা টানা দুইটি ম্যাচ সুপার ওভার খেলেছি। প্রথম ম্যাচে তো আসলে ১ রানই টার্গেট ছিল। আর দ্বিতীয় ম্যাচে হয়তো আমরা... দেখুন সুপার ওভারে আপনার শট খেলতেই হবে।’
ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ওভারে ভালো করতে পারেননি ব্যাটাররা। ৩ বলের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ব্যাট থেকে এসেছিল মোটে ১ রান। আর ওয়াইড ও বাইফোর দিয়ে সবমিলিয়ে সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিল ৬ রান।
এমন পারফরম্যান্স নিয়ে আকবর বলেন, ‘ভারতীয় দলের কথা বলুন বা আমাদের কথা বলেন বা পাকিস্তানি দলের কথা বলুন, সুপার ওভারে যারাই যাবে, শট খেলতে হবে। ওখানে আপনাকে হাই রিস্ক শটই খেলতে হয়। অনেক সময় দেখা যায়, ক্লিক করে। অনেক সময় করে না। আমি এভাবেই দেখছি ব্যাপারটা।’

স্পোর্টস ডেস্ক