তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী ‘বেসিস সফটএক্সপো’ শুরু

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে তথ্যপ্রযুক্তির প্রদর্শনী ‘বেসিস সফটএক্সপো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি : বেসিস

চার দিনব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির প্রদর্শনী ‘বেসিস সফটএক্সপো’ আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে। রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই প্রদর্শনী। ‘ওয়েলকাম টু স্মার্টভার্স’ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।

বেসিস সফটএক্সপোর উদ্বোধন করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এবারের বেসিস সফটএক্সপো প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। আগ্রহীরা বেসিস সফটএক্সপোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (https://softexpo.com.bd/) থেকে বিনামূল্যে নিবন্ধন করে প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পারবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিদিনই আমাদের সফটওয়্যার নির্ভরশীলতা বাড়ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সফটওয়্যারের কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে বেসিসের সদস্যরা সবচেয়ে বেশি অবদান রাখবে বলে আশা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেসিস সভাপতি পাঁচ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার আয় করতে রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট, সরকারি সহায়তা এবং ইন্ডাস্ট্রির জন্য সুযোগ নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। তিনটি খাতকে একটি ছাতার নিচে আনতে বলেছেন। যদি এই প্রস্তাব রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হয়, তবে প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই সেটা বিবেচনা করবেন।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম প্রোগ্রামার হানিফ উদ্দিন মিয়ার কোডিং থেকে বাংলাদেশের সফটওয়্যার খাতের যাত্রা। এখন এইখাত বহুগুন সমৃদ্ধ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদেরকে দুটি জায়গায় কাজ করতে হবে, একটি হলো মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও আরেকটি হলো শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন।’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আইসিটি এখন অন্যতম শিল্প খাত হয়ে উঠেছে। ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে বর্তমানে এক দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হচ্ছে, ২০২৫ সাল নাগাদ সেটি পাঁচ বিলিয়ন ডলারের উন্নীত করতে সরকারি ও বেসিস যৌথভাবে কাজ করছে। রপ্তানি উৎসাহিত করতে ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। দেশের সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।’

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার পাশাপাশি সম্ভাবনাকে তুলে ধরা। আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রণী ভূমিকাতেই ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ও তাঁর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্ঠা সজীব ওয়াজেদ জয়ের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তর করা। এক্ষেত্রে একমাত্র শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে বেসিসই পারবে সেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে।’

আয়োজকরা জানান, সফটএক্সপো উপলক্ষে ইতিমধ্যেই দেশের ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়েছে। দর্শনার্থীরা যাতে সহজেই বেসিস সফটএক্সপোতে যাতায়াত করতে পারেন, সেজন্য বিশেষ শাটল বাসসেবার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে গেমিং জোন, বিজনেস লাউঞ্জ, ফুড কোর্ট ও কনসার্ট।

সফটএক্সপোতে সরকারি বেসরকারি নীতিনির্ধারক, প্রায় ২০০ জন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বক্তা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, দেশের বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীবৃন্দ, বিদেশি প্রতিনিধি দল, দেশি ও বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারকারী এবং আগ্রহী তরুণ-তরুণীসহ তিন লাখের বেশি দর্শণার্থী পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।