এগিয়ে যাচ্ছে বাংলা কম্পিউটিং
জিডিজি বাংলা ড্যাফোডিল চ্যাপ্টারের আয়োজনে হয়ে গেল বাংলা ট্রান্সলেট-এ-থন অ্যান্ড ব্রেইন স্টর্মি অন বাংলা টেক প্লাটফর্ম।
গত শুক্রবার লুমেক্স আইটির কলাবাগান অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি শুরু হয় গুগল ট্রান্সলেটরে নতুন বাংলা শব্দযোগ কার্যক্রমের মাধ্যমে। এই কার্যক্রমে অংশ নেয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৬০ জনেরও অধিক শিক্ষার্থী।
শব্দযোগ কার্যক্রম শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন মার্কেট প্লেস বিল্যান্সারের প্রতিষ্ঠাতা মো. শফিউল আলম। তিনি বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর জীবনে সফল হতে দুটি গুণ খুবই জরুরি, তা হলো দক্ষতা এবং কমিউনিকেশন স্কিল। আর কমিউনিকেশন স্কিল তৈরির জন্য কমিউনিটির কোনো বিকল্প নেই।’
এ সময় তিনি বিল্যান্সারের নানা বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন। মোটিভেশন পর্বে বক্তব্য রাখেন লুমেক্স আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌফিক রহমান শোভন। তিনি বলেন, ‘ভলান্টিয়ার ওয়ার্ক থেকে যা তৈরি হয় তা হলো নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ। এর পাশাপাশি জীবনে সফল হতে গেলে অজুহাতকে না বলতে হবে।’
এরপর শুরু হয় ব্রেইন স্টর্মিং সেশন। এই সেশন পরিচালনা করেন জিডিজি বাংলার দুই ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসাডর মতিউর রহমান ও তিতাস আহমেদ। এই সেশনের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল কীভাবে বাংলা কম্পিউটিংকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
বাংলা কম্পিউটিংকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাদের মতামত গ্রহণ করা হয়। শিক্ষার্থীদের সেলফ ইম্প্রুভমেন্ট এবং ডেভেলপিং স্কিল বাড়ানোর জন্য আগামী কয়েক মাস তাঁদের কাছে ধারণাপত্র জমা নেওয়া হবে এবং পরবর্তীতে ডেভেলপার ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে এই পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে থেকে দক্ষ ডেভেলপারদের কাছে থেকে বাস্তবায়নের পরামর্শ নেওয়া হবে।
ডেভেলপার ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই অংশগ্রহণ করতে পারবে। ডেভেলপার ফেস্টিভ্যাল সম্পর্কে বলতে গিয়ে জিডিজি বাংলার কমিউনিটি ম্যানেজার জাবেদ সুলতান পিয়াস বলেন, ‘সফল মানুষদের সান্নিধ্যে আসতে পারলেও অনেক অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়।’
এই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জিডিজি বাংলার কমিউনিকেশন ম্যানেজার রাহিতুল ইসলাম রুয়েল। তিনি জিডিজি বাংলার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোকপাত করেন। ‘ভাষার জন্যে ৪ লাখ’ শব্দযোগ কার্যক্রমে জিডিজি বাংলার অভাবনীয় সাফল্যের জন্য সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গুগলের আইও সম্মেলনে জিডিজি বাংলা ভূয়সী প্রশংসিত হয়।