ভুতুড়ে ম্যাকবুক, কিনবেন?
সায়েন্সফিকশন ছবিতে হয়তো দেখে থাকবেন, যন্ত্র কীভাবে ভুতুড়ে বা অভিশপ্ত কিংবা অতৃপ্ত আত্মার মতো আচরণ করে! স্ট্যানলি কুব্রিকের কালজয়ী ছবি ‘২০০১- আ স্পেস ওডিসি’র সেই ভয়াবহ রোবট হালের কাণ্ডকারখানা দেখলেই টের পাবেন হাড়ে হাড়ে! কিন্তু তাই বলে বাস্তবে কি এমনটা ঘটা সম্ভব? এমন দাবিতে এক ব্যক্তি, ছদ্মনাম নিয়ে, এরই মধ্যে ‘ই-বে’তে নিলামে তুলেছেন নিজের ভুতুড়ে ম্যাকবুকটিকে। টাইম ম্যাগাজিনের ওয়েবসাইট হাতড়ে মিলল এই বিচিত্র খবর।
কম্পিউটার আবার ভুতুড়ে কিংবা অভিশপ্ত হয় কীভাবে? মনে স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহ জাগে, কিংবা খটকা লাগে! এই খটকার বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিক্রেতা তাঁর পণ্যের বিবরণীতে-
‘যাহোক, আমি কম্পিউটারটা বাসায় নিয়ে এলাম (এখনো দিব্যি কাজ চালাবার মতো অবস্থায় আছে), আর তখন থেকেই উদ্ভট কিছু ঘটতে শুরু হলো। প্রথমে দেখলাম, আমার আই টিউনসের সব জমিয়ে রাখা গান কেমন যেন উদ্ভট আর ভৌতিক সুরে বাজছে। এরপর, ডেস্কটপ ব্যাকগ্রাউন্ড আপনা আপনি বদলে গিয়ে একটা ভয়ঙ্কর ছবিতে পরিণত হলো। এরপরের সপ্তাহে আমি আর আমার স্ত্রী বার্বি; আমরা দুজনেই খেয়াল করলাম যে আমাদের অলক্ষ্যেই ঘরের আসবাবপত্রগুলো নতুন করে সাজানো হয়েছে। একরাতে আমরা ডিনার সারতে বাইরে গিয়েছিলাম। বাড়ি এসে দেখি আমাদের বেসবল কার্ড আর আমার স্ত্রীর জমানো দুষ্প্রাপ্য কিছু মার্কিন মুদ্রা একেবারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আরো ভয়ঙ্কর বিষয় হচ্ছে, মাঝেমধ্যে ম্যাকবুকটা নিজে নিজে চালু হয়ে, স্ক্রিন আপনা থেকেই খুলে যায়; এমনকি মনে হয় এটা কথা বলার চেষ্টা করছে।’
পুরো পণ্যের বিবরণই এই ছদ্মনামী বিক্রেতা ভুতুড়ে আঙ্গিকে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। নিলামে হাঁকা দামটাও বেশ রহস্যজনক, মোটে ৭৫ ডলার। এই আজব সংবাদ লেখার সময়ে দেখা গেল, সেই দর এখন ১৭৭ ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। নিলামের সময় ফুরোতে হাতে এখনো পাঁচদিনের মতো বাকি। কাজেই চিন্তা করে দেখুন, ভূতুড়ে ম্যাকবুকের জন্য হাঁকবেন নাকি দাম? আবার কবে না কবে এমন ভুতুড়ে পণ্যের খোঁজ মেলে কে জানে! এই দুনিয়ায় পয়সাই কি সব!