আন্ডারগ্রাউন্ড বাইসাইকেল পার্কিং

প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মানুষ তার কষ্ট কমিয়ে এনেছে সবসময়। জাপানে কম জায়গায় বেশি সাইকেল পার্কিংয়ের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এই পদ্ধতিতে সবচেয়ে নিরাপদ বিষয় হলো সাইকেলটি থাকবে নিরাপদে। চুরি হওয়া বা রাস্তায় অন্যের ঝামেলা তৈরি করবে না আপনার দ্বিচক্রযান। আর রোবটের ধাতব দাঁতের কামড়ে কোনো ক্ষতিও হবে না সাইকেলটির।
জাপানের জন্য এই প্রযুক্তি অবশ্য নতুন কিছু নয়। পরিবেশ সচেতনতা থেকেই জাপানে সাইক্লিং বেশ প্রচলিত। স্কুল কলেজ তো বটেই অফিসে যাওয়া আসার জন্যও মানুষ নিয়মিত সাইকেল ব্যবহার করে। বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই সাইকেল পার্কিংয়ের এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে জাপানিরা। এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে গিকেন সেইসাকুশো নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
>
একই সাথে চুরি ঠেকানো, জায়গা বাঁচানো এবং পরিবেশ রক্ষা- তিনটি কাজ যেন একসাথে হয় সেদিকেই নজর রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রতিষ্ঠানের তৈরি আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিংয়ে একসাথে ২০৪টি সাইকেল রাখা যাবে। আর সব সাইকেল ঠিকঠাক জায়গায় রাখতে মেশিনগুলোর সময় লাগবে মাত্র ১৩ সেকেন্ড।
নিয়মিত ব্যবহারের জন্য সাইকেলের মালিকরা একটি কার্ড পাবে, যা দিয়ে সাইকেল রাখা এবং তোলা যাবে। এর জন্য মাসে তাদের গুনতে হবে মাত্র ১৫ ডলার। চুরি গেলে আরেকটা নতুন সাইকেল কেনার চেয়ে এই খরচটা অনেক কম!