'উইকিপিডিয়ায় নজরদারি বন্ধ করুন'
উন্মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন এর প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস। আজ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে এক নিবন্ধে তিনি এই আহ্বান জানান।
জিমি ওয়েলস জানান, উইকিপিডিয়ার ৫০ কোটি ব্যবহারকারীদের নজরদারি থেকে মুক্ত রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উইকিপিডিয়ার পক্ষ থেকে আজই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসএর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
'গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি জ্ঞান ও ভাবনার আদান-প্রদান আজ হুমকির মুখে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেকের ব্যক্তিগত অধিকার আছে। এ ছাড়া সংবিধানে কোনো ব্যক্তির মত প্রকাশ ও সংগঠনে যুক্ত হওয়ার স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে। এই কারণে এনএসএর নজরদারি দেশের সংবিধানের পরিপন্থী। কংগ্রেসে ২০০৮ সালে সংশোধিত ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভেল্যান্স অ্যাক্টের আওতায় এনএসএকে নজরদারির যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, তাও লঙ্ঘন করছে তারা,' যোগ করেন জিমি ওয়েলস।
জিমি ওয়েলস বলেন, তাঁরা জানতে পেরেছেন, উইকিপিডিয়ায় কোনো নিবন্ধ সম্পাদনা করেন বা পড়েন এমন ব্যক্তিদের কাজকর্ম নজরদারি করে এনএসএ। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়ের ওপর নজরদারি চলে। এ ক্ষেত্রে একজনের রাজনৈতিক মতাদর্শ, ধর্মীয় বিশ্বাস ও শারীরিক বিষয়েও তথ্য জানা হয়।
উইকিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা বলেন, উইকিপিডিয়া পড়তে কোনো অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হয় না। তাই পরিচয় প্রকাশ না করেই উইকিপিডিয়ার কয়েক শ ভাষায় লেখা কোটি কোটি নিবন্ধ পড়া যায়। যুক্তরাষ্ট্র ও এর বাইরে থাকা প্রায় ৭৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রতিনিয়ত উইকিপিডিয়ার উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলছেন। তিয়েন আমেন স্কয়ার থেকে শুরু করে উগান্ডার সমকামী অধিকার পর্যন্ত বিশ্বের সব তথ্যই এখানে পাওয়া যায়। বিতর্কিত ও কোনো দেশের সরকারবিরোধী বিষয় নিয়ে উইকিপিডিয়ায় তথ্য দেন—এমন স্বেচ্ছাসেবকরা তাঁদের পরিচয় গোপন রেখে কাজ করেন। পরিচয় প্রকাশিত হলে তাঁরা বিপদের সম্মুখীন হবেন। তাই স্বেচ্ছাসেবকদের পরিচয় গোপন রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে পাঠকদের পরিচয়ও।