আসাম-মেঘালয় সীমানায় গুলি, নিহত ৬

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : সংগৃহীত

বছরখানেক আগে আসাম-মিজোরাম সীমানায় প্রবল গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন আসাম পুলিশের জওয়ান ও অফিসাররা। এবার গুলি চললো আসাম-মেঘালয় সীমানায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আসাম পুলিশের একটি দল সীমানার জঙ্গলে একটি ট্রাকের পিছনে ধাওয়া করে। এরপর আসাম পুলিশের গাড়ি ঘিরে ফেলেন মেঘালয়ের জনজাতি অধ্যুষিত এলাকার মানুষ। তারপরেই গোলাগুলি শুরু হয়। ঘটনায় আসাম ফরেস্ট গার্ডের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মেঘালয়ের পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে মেঘালয়ের দাবি। 

প্রাথমিকভাবে আসাম প্রশাসন অবশ্য চারজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে। এখানেই শেষ নয়। এরপর মঙ্গলবার রাতে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে একটি আসামের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা। সকালের ঘটনার জেরেই এ কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সকালে। আসাম প্রশাসন জানিয়েছে, আসামের জঙ্গলে একটি চোরাই কাঠবোঝাই লরি দেখতে পায় আসামের বনদপ্তর। সঙ্গে সঙ্গে তারা ট্রাকটিকে ধাওয়া করে। ট্রাকটি পৌঁছে যায় জয়ন্তী পাহাড়ের মুখরো গ্রামের কাছে। 

মেঘালয়ের অভিযোগ, সে সময় আসাম পুলিশের গাড়ি থেকে ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ট্রাকটি সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ে। এই সময়েই স্থানীয় মানুষ আসাম পুলিশের গাড়িটি ঘিরে ধরে। অভিযোগ বলছে, দুপক্ষের মধ্যে তখনই গুলির লড়াই শুরু হয়।

মেঘালয়ের অভিযোগ, আসামের অফিসাররা প্রথম গুলি চালান। 

ঘটনাটিকে অনভিপ্রেত বলে দাবি করেছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী। একটি বিচারবিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, আসামের মুখ্যমন্ত্রীও বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

১৯৭২ সালে আসাম ভাগ হয়ে মেঘালয় তৈরি হয়েছিল। তখন থেকেই মেঘালয়ের সঙ্গে আসামের সীমানা নিয়ে বিতর্ক আছে। যে অঞ্চলে ঘটনাটি ঘটেছে আসাম সেটি তাদের জায়গা বলে দাবি করে। মেঘালয়ের দাবি ওই অঞ্চল তাদের। 

এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মধ্যস্থতায় দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে একটি চুক্তি সই হয় কিছুদিন আগে। ছয়টি বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে একটি সমাধানসূত্রে পৌঁছায় দুই রাজ্য, কিন্তু এখনও একাধিক বিতর্কিত এলাকা আছে।

শুধু মেঘালয় নয়, আসামের সঙ্গে মিজোরামেরও সীমানা বিতর্ক আছে। যার জেরে বছরখানেক আগে দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে গুলির লড়াই হয়েছিল।

এদিনের ঘটনার পর মেঘালয়ের সাতটি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরেও সন্ধ্যায় গাড়ি জ্বালানোর ঘটনা ঘটে।