ইন্দোনেশিয়ায় জ্বালানি ডিপোর আগুনে নিহত বেড়ে ১৯, নিখোঁজ ৩

Looks like you've blocked notifications!
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় রাষ্ট্রীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি পের্টামিনা পরিচালিত প্লাম্পাং জ্বালানি ডিপোতে গত শুক্রবার মধ্যরাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল কর্মীরা। ছবি : রয়টার্স

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানীতে একটি জ্বালানি ডিপো থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার পর রোববার আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ি ও ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ তিনজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে উদ্ধার ও দমকল বাহিনী।

উত্তর জাকার্তার তানাহ মেরাহ’র ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার কাছে রাষ্ট্রীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি পের্টামিনা পরিচালিত প্লাম্পাং জ্বালানি ডিপোটি অবস্থিত। এটি ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি চাহিদার ২৫ শতাংশ সরবরাহ করে।

দমকল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার মধ্যরাতের ঠিক আগে অন্তত ২৬০ জন দমকল কর্মী এবং দমকলের ৫২টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কালো ধোঁয়া ও কমলা রঙের আগুনে আকাশ ভরে যাওয়ায় শত শত মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করছে।

জাতীয় পুলিশ প্রধান জেনারেল লিস্টিও সিগিত প্রবোও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে—পশ্চিম জাভা প্রদেশের পের্টামিনার বালোনগান শোধনাগার থেকে ডিপোটিতে জ্বালানি গ্রহণ করার কারণে অতিরিক্ত চাপের সঙ্গে জড়িত প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে আগুন লাগে।

শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে পের্টামিনায় উৎপাদিত এক ধরনের জ্বালানি তেলের কথা উল্লেখ করে লিস্টিও বলেন, ‘জানা গেছে, পার্টাম্যাক্স জ্বালানি ভর্তি করার সময় আগুন লেগেছিল।’ যেহেতু এখনও তদন্ত চলছে তাই তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

উদ্ধারকারীরা এখনও নিখোঁজ তিনজনকে খুঁজছেন বলে জানা গেছে। পাঁচটি হাসপাতালে প্রায় ৩৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

লিস্টিও বলেন, প্রায় এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ ঘরহারা হয়ে ১০টি সরকারি অফিস, একটি রেড ক্রস কমান্ড পোস্ট ও একটি স্পোর্টস স্টেডিয়ামে আশ্রয় নিয়েছে।