এবার কোয়ারেন্টিনে গোটা স্পেন, একদিনে আক্রান্ত দেড় হাজার

Looks like you've blocked notifications!
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে স্পেনজুড়ে জরুরি অবস্থা চলছে। সতর্ক অবস্থানে মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ছবি : রয়টার্স

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকিতে ইতালির পরে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে স্পেন। ইতালির মতো গতকাল শনিবার থেকে গোটা স্পেনে ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ফলে দেশটির চার কোটি ৭০ লাখ মানুষকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। খাবার, ওষুধ ও জরুরি জিনিসপত্র কেনা ছাড়া কোনো কারণে বাইরে যাওয়া যাবে না। খাদ্য ও ওষুধ ছাড়া অন্য কোনো দোকানপাটও খোলা রাখা নিষেধ।

ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ১৫৭ জন। আর স্পেনে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা একদিনে এক হাজার ৫০০ জন বেড়েছে। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৩৯১‌ জনে। আর মারা গেছেন ১৯৬ জন।

প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, ‘আমরা অচিরেই কাজকর্মে ফিরে যাব এবং বন্ধুবান্ধব ও প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করব। তবে সময় আসার আগ পর্যন্ত আমাদের অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে।’

গত শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ইউরোপ এখন মহামারির কেন্দ্রস্থলে রূপ নিয়েছে। সংস্থাটির মহাপরিচালক ডা. টেড্রস আধানম বিভিন্ন দেশকে আহ্বান জানান, তারা যেন জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার কথা জানিয়েছে।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজারের কাছে গিয়ে ঠেকেছে। আক্রান্তের সংখ্যাও দেড় লাখের কাছাকাছি। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে এই ভাইরাসের প্রকোপ কমে এলেও ইতালিতে শুক্রবার একদিনে সর্বোচ্চ ২৫০ জন মানুষের মৃত্যুতে প্রাণহানির সংখ্যা এক হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।