কলকাতায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

Looks like you've blocked notifications!
কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বক্তব্য দিচ্ছেন উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। ছবি: এনটিভি অনলাইন

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ৫২ বছরপূর্তি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজন করে বাংলাদেশ উপহাইকমিশন, কলকাতা। 

গতকাল মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকালে উপহাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনটির কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। এরপর কমিশনের সব কর্মকর্তদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ‘মুজিব ভাস্কর্যে’ পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

বিকেলে  উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসের সভাপতিত্বে উপহাইকমিশনের ‘বাংলাদেশ গ্যালারি’-তে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে  প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সদস্য এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বরেন্দু মন্ডল ও  পশ্চিমবঙ্গের দি টেলিগ্রাফ পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক শ্রী দেবদীপ পুরোহিত। আলোচনার শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণটি প্রদর্শিত হয়। এরপর কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির বাণী এবং কাউন্সিলর (কনস্যুলার) এএসএম আলমাস হোসেন প্রধানমন্ত্রীর বাণী  পাঠ করে শোনান। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময়েই জাতির পিতা উপলব্ধি করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তার কথা। আজ স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে আমরা অর্থনৈতিকভাবে অনেক অগ্রসর একটি দেশ।’ প্রতিবেশী ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিকভাবে আরো এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ভুমিমন্ত্রী।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, ‘৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। এটি একটি অনন্য রণকৌশলের দলিল। এই ভাষণে অনুপ্রাণীত হয়েই ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতায় তৎকালীন পাকিস্তান উপ-হাইকমিশনের বাঙ্গালী কর্মকর্তারা বিদ্রোহ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টি এই মিশন কাজ করেছিল বাংলাদেশ হাইকমিশন হিসেবে।’