কানাডার আটলান্টিক উপকূলে আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ফিওনা

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : সংগৃহীত

প্রবল বৃষ্টি ও তীব্র বাতাস নিয়ে কানাডার আটলান্টিক উপকূলে আঘাত হানতে যাচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফিওনা। শনিবার সকালে দেশটির পূর্বাভাসকারীরা সতর্ক করে বলেছেন, এটি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। 

যদিও আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলেও ফিওনার প্রভাবে এখনও হারিকেনের মতো তীব্র বাতাস, প্রবল বৃষ্টি ও সমুদ্রে বড় আকারের ঢেউ তৈরি হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় দুই লাখ সাত হাজার নোভা স্কোটিয়ার পাওয়ার গ্রাহক মধ্যরাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হয়েছে। 

দ্রুত ধাবমান ফিওনা শনিবার ভোরের আগে নোভা স্কটিয়ার মাটিতে আঘাত করবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার ভোরে বারমুডা উপকূল পার হওয়ার সময়  ঘূর্ণিঝড়টি আগের চেয়ে অনেক দুর্বল হয়ে যায়।

কানাডিয়ান হারিকেন সেন্টার নোভা স্কটিয়া, প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ড ও নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলীয় বিস্তৃতির জন্য একটি হারিকেন সতর্কতা জারি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার বলেছে, প্রবল বাতাসসহ শক্তিশালী ক্রান্তীয় সাইক্লোন হিসেবে ফিওনা এই অঞ্চলে আঘাত হানবে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘এটি মারাত্মক হতে যাচ্ছে।’ তিনি নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশাবলী শুনুন এবং পরবর্তী ২৪ ঘন্টা নিরাপদ স্থানে অবস্থান করুন।’

যুক্তরাষ্ট্রের হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, শুক্রবার দিনশেষের দিকে ফিওনা ক্যাটাগরি-২ শক্তিতে ছিল। সে সময় এটি সর্বোচ্চ ১০৫ মাইল (১৬৫ কিমি) বেগে বাতাস বয়েছিল। এটি হ্যালিফ্যাক্স, নোভা স্কটিয়ার প্রায় ১৪০ মাইল (২২০ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পূর্বে কেন্দ্রীভূত ছিল। যা ৪৬ মাইল (৭৪ কিলোমিটার) বেগে উত্তর-পূর্ব দিকে যাচ্ছিল। হারিকেন সৃষ্ট বাতাস কেন্দ্র থেকে ১৮৫ মাইল (২৯৫ কিলোমিটার) পর্যন্ত বাইরের দিকে প্রসারিত হয়েছিল এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় সৃষ্ট বায়ু ৩৪৫ মাইল (৫৫৫ কিলোমিটার) পর্যন্ত বাইরের দিকে প্রসারিত হয়েছিল। 

নোভা স্কটিয়ার ডার্টমাউথের কানাডিয়ান হারিকেন সেন্টারের আবহাওয়াবিদ ইয়ান হাবার্ড বলেন, ‘এটি অবশ্যই আমাদের দেশের উপকূলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে একটি হতে চলেছে।’

হাবার্ড বলেছেন, ‘ঝড়টি শীতল জলের ওপর দিয়ে যাওয়ার কারণে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং হারিকেনের শক্তি নিয়ে এটি স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা খুবই কম।’