চিকিৎসকরা বলছেন জামিয়ার ৩ বিক্ষোভকারী গুলিতে আহত, পুলিশের অস্বীকার

Looks like you've blocked notifications!

দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের অভিযানে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, চিকিৎসকরা এমন দাবি করলেও পুলিশ তা অস্বীকার করছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত তিন ব্যক্তি অভিযোগ করেছে তাদের ওপর গুলি করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের দাবি, কাঁদানে গ্যাসের ক্যানেস্তারা ভেঙে আহত হয়েছে ওই তিন ব্যক্তি।

বিবিসি জানিয়েছে, পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন এমন ধারণা করা এক আহত ব্যক্তির মেডিকেল রিপোর্টে চিকিৎসকরা লিখেছেন, তাঁর ঊরু থেকে ‘অচেনা বস্তু’ বের করা হয়েছে।

এদিকে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কেউই শিক্ষার্থী নন। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তার করা সবারই অপরাধের ইতিহাস রয়েছে। আরো কয়েকজন সমাজবিরোধীর খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার চিন্ময় বিসওয়াল বলেন, ‘জামিয়া ও নিউ ফ্রেন্ডস কলোনির ১০ জন স্থানীয় বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।’

পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার রাত থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। চিন্ময় বিসওয়াল বলেন, ‘সংঘাতের সময় ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের বয়ান ও সিসিটিভির ফুটেজের ভিত্তিতে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

গত রোববার বিকেলে কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর, অনুমতি ছাড়াই রাতভর দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এতে শতাধিক আহত হন এবং অনেককে আটক করা হয়। এর পর গতকাল সোমবার ভারতজুড়ে শুরু হয় ছাত্র বিক্ষোভ। দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে সমাবেশ করে প্রতিবাদ জানান কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে লাখো মানুষের সমাবেশ শেষে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যতক্ষণ এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিল না করা হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি রাস্তায় আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। মমতা অভিযোগ করেন, শুধু মুসলিমরাই নয়, খ্রিস্টানদেরও বঞ্চিত করতে চায় বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে জনগণনা বা ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারের কার্যক্রমও বন্ধ করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার জেরে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ট্রেন চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে।