জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু : যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে চলছে বিক্ষোভ, সহিংসতা

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের বিরুদ্ধে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার অভিযোগে সাধারণ মানুষের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পেনসিলভানিয়া থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন শহরে। স্থানীয় সময় গতকাল রোববারও রাস্তায় নেমে আসে প্রায় ১০ হাজার বিক্ষোভকারী।
বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক হাজার ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি কঠোর কারফিউ জারি এবং গণপরিবহন ব্যবস্থাও বন্ধ করে দিয়েছেন নগর ও রাজ্য কর্মকর্তারা। তবে এরপরও বেশিরভাগ শহর উত্তাল হয়ে উঠেছে বিক্ষোভে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের বাইরেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে লাফায়েট পার্কের রাস্তায় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক হাজারের বেশি মানুষের সমাবেশে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে প্রতিবাদকারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিরক্ষা দপ্তরের দুই কর্মকর্তা জানান, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার জন্য পুরো ওয়াশিংটনে প্রায় এক হাজার ৭০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, টানা বিক্ষোভের কয়েক দিনে মহাসড়ক অবরোধ, কারফিউ অমান্য করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে চার হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মিনিয়াপোলিস পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। কারফিউ জারি করা হয়েছে অন্তত ৪০ শহরে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক ব্যক্তিকে জাল নোট রাখার অভিযোগে হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। বর্ণবিদ্বেষ থেকেই ফ্লয়েডকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বিক্ষোভ করছে কৃষ্ণাঙ্গরা।