জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি টোকিও যাচ্ছেন। প্রায় দুই যুগের মধ্যে এটি হচ্ছে ইরানের কোনো প্রেসিডেন্টের প্রথম জাপান সফর।

বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পারমাণবিক উত্তেজনা প্রশমিত করার জন্য টোকিও মধ্যস্থতা করতে চায়। ইরানে পেট্রোলিয়ামের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গত মাসে সহিংস বিক্ষোভের ঘটনার পর তিনি এ সফর করছেন।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াশিংটনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ইরানের অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মোকাবিলায় এক আন্তর্জাতিক চুক্তি প্রত্যাখ্যানের পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

ইরানের সরকারি মুখপাত্র আলি রাবিই জাপানের মধ্যস্থতার বিষয়ে বলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মতো ইস্যুতে জাপানের কিছুই করার নেই।’

তবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমাদের জাপানের বন্ধুরা সাধারণত বার্তা পৌঁছে দেয়। আমরা তাদের স্বাগত জানাই... বিষয়টিতে গুরুত্ব প্রদান করি।’

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র ও ইরানের সঙ্গেও কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে জড়িত থাকায় প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে দুই পারস্পরিক বিরোধী শক্তির মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ার প্রয়াশ পাচ্ছেন।

গত সপ্তাহে আবে বলেছেন, তিনি উত্তেজনা প্রশমনে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও ভূমধ্যসাগরীয় দেশটির মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্দেশ্যে গত জুন মাসে আবে ইরান সফর করেন।

প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জাপান সফরের আগে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে যান।