জাপান সফরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

Looks like you've blocked notifications!
সস্ত্রীক জাপানে পৌছান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক ইওল। ছবি : রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক ইওল আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) জাপান সফরে গিয়েছেন। সম্পর্কে নতুন অধ্যায় সূচনাই তার এ সফরের লক্ষ্য। খবর এএফপির।

এদিকে তার সফরের কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তর কোরিয়া দূর পাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। চলতি সপ্তাহে এটি তাদের তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ। উত্তর কোরিয়ার ঘন ঘন পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার কারণে আঞ্চলিক নিরাপত্তার হুমকি মোকাবেলায় জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের মতপার্থক্য দূর করে ঐক্যফ্রন্ট তৈরির চেষ্টা করছে। 

ইয়নের সফরের আগে সিউল চলতি মাসে জাপানের যুদ্ধকালে জোরপূর্বক শ্রমের শিকার কোরীয় ক্ষতিগ্রস্তদের টোকিওর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছাড়াই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। 

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ইয়নের সফরের মধ্যদিয়ে দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের আভাস পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে মে মাসে হিরোশিমায় অনুষ্ঠেয় জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ইয়নকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সম্ভাব্য আমন্ত্রণ এবং এরপর তার সিউল সফর। গতবছর নির্বাচনের পর ইয়ন স্পষ্ট করে বলেছেন, জাপানের সাথে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে তিনি অগ্রাধিকার দেবেন।

ইয়ন তার দুদিনের সফরকে দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন। উল্লেখ্য, গত ১২ বছরে দু’দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যায়ে এ প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সফর শুরুর আগে চলতি সপ্তাহে এক সাক্ষাতকারে ইয়ন বলেছেন, ‘কোরীয়-জাপান সম্পর্কে নতুন অধ্যায় সূচনায় জাপান সরকার যোগ দেবে বলে আমি আস্থাশীল।’ 

কিন্তু, দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিহাস এক বড়ো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বিশেষ করে যুদ্ধকালীন যৌনদাসীদের ব্যবহার, যাদের ‘কমফোর্ট উইমেন’ বলা হয় এবং জোরপূর্বক শ্রমসহ জাপানের ৩৫ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের সময় সংঘটিত নৃশংসতা উল্লেখযোগ্য। 

এছাড়া ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত জাপানি সংস্থাগুলোকে জোরপূর্বক শ্রমের শিকার ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশের পর দু’দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে।