জেলেই মারা যাবেন অ্যাসাঞ্জ, ৬০ চিকিৎসকের আশঙ্কা!

Looks like you've blocked notifications!
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ছবি : রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের গোপন কারাগারে বন্দি অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গুরুতর অসুস্থ। কারাগারেই তাঁর মৃত্যু হতে পারে। এমন আশঙ্কা জানিয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর খোলা চিঠি দিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি চিকিৎসক।

রাষ্ট্রীয় তথ্য চুরি করে তা প্রকাশ করার দায়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৪৮ বছর বয়সী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে নিজেদের দেশে নিয়ে বিচার করতে চায়। মার্কিন আদালতে অ্যাসাঞ্জকে নেওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ১৭৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর। বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলকে লেখা ১৬ পৃষ্ঠার খোলা চিঠিতে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের বেলমার্স কারাগার থেকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়ার অনুরোধ জানান যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, সুইডেন, ইতালি, জার্মানি, শ্রীলঙ্কা ও পোল্যান্ডের চিকিৎসকরা।

জাতিসংঘের নির্যাতনবিষয়ক কর্মকর্তা নিলস মেলজারের দেওয়া ১ নভেম্বরের প্রতিবেদন এবং ২১ অক্টোবর লন্ডনের আদালতে অ্যাসাঞ্জের বক্তব্য ও শারীরিক অবস্থা দেখে ওই চিকিৎসকরা এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হাতে অ্যাসাঞ্জকে তুলে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে শুনানি রয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, ‘ওই শুনানিতে অংশ নেওয়ার মতো কোনো অবস্থা নেই অ্যাসাঞ্জের শরীরের। তাঁর শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। এখন আমাদের হাতে যা প্রমাণ রয়েছে, অ্যাসাঞ্জের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা হলে কারাগারেই মৃত্যু হতে পারে তাঁর। নষ্ট করার মতো সময় হাতে নেই।’

জাতিসংঘের এক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, অ্যাসাঞ্জের ওপর অব্যাহত দমনপীড়ন তাঁর জীবনকে বিপন্ন করতে পারে।

২০১০ সালে উইকিলিকস ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আফগানিস্তান ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলা নিয়ে গোপন নথি প্রকাশ করেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ওই সব তথ্য প্রকাশের ফলে চরম সমালোচনার মুখে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

প্রায় ছয় মাস পর গত মাসে জনসমক্ষে আনা হয় অ্যাসাঞ্জকে। সে সময় তাঁকে খুবই দুর্বল দেখায়। বেলমার্স কারাগারে তাঁকে যেভাবে রাখা হয়েছে, তা নিয়েও অভিযোগ করেন তিনি। এর আগে গত এপ্রিলে ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করা হয় মুক্ত তথ্য ও বাকস্বাধীনতার পক্ষে লড়াই করা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে।