‘ট্রাম্পের নির্দেশে’ ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে অপহরণের চেষ্টা!

Looks like you've blocked notifications!

ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক মার্কিন নাগরিকের স্বীকারোক্তির একটি ভিডিও সম্প্রচার করা হয়েছে। এতে তাকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে উৎখাত করে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে নিতে দেখা গেছে।

বুধবার ওই ভিডিও সম্প্রচার করা হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এর আগে গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলায় অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩ জনকে আটক করা হয়। দেশটির কর্তৃপক্ষ এসব ব্যক্তিদের ভাড়াটে হিসেবে আখ্যায়িত করে। এদের মধ্যে স্বীকারোক্তি দেওয়া মার্কিন নাগরিক লিউক ডানম্যানও রয়েছেন।

ভিডিওটিতে ডানম্যান স্বীকারোক্তি দেন যে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নির্দেশে তিনি কারাকাস বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় ছিলেন। সেখান থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে যুক্তরাষ্ট্রে তুলে নেওয়া ছিল তার উদ্দেশ্য। এ ঘটনায় মাদুরো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপহরণের নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করেন।

ডানম্যান বলেন, কারাকাসে ফিরে আসার আগে তাকে কলম্বিয়ায় ভেনেজুয়েলার বাসিন্দাদের প্রশিক্ষণ দিতে ভাড়া করা হয়। নিজেকে স্পেশাল ফোর্সের সাবেক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ভেনেজুয়েলানদের তাদের দেশের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সাহায্য করছিলাম।’

ডানম্যান ও আরেক মার্কিন নাগরিক আরান বেরিসহ ১৩ জনকে ভেনেজুয়েলা কর্তৃপক্ষ সোমবার আটক করে। তাদের ‘সন্ত্রাসী’ উল্লেখ করে মাদুরো জানান, তাকে উৎখাত করার ওয়াশিংটনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।

এই ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট। ডানম্যানের ভিডিও প্রচারের পর টেলিভিশনে এ মন্তব্য করেন মাদুরো।

তবে এ ঘটনায় মার্কিন সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া আটক হওয়া মার্কিন নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

এদিকে ফ্লোরিডা-ভিত্তিক সিকিউরিটি কোম্পানি সিলভার কর্প ইউএসএর প্রধান ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জর্দান গৌদেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এ অপারেশনে দুজন মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে কাজ করছিলেন। মাদুরো ও ‘স্বাধীন’ ভেনিজুয়েলাকে হত্যা করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না।