তুরস্কের পার্লামেন্টে লিবিয়ায় সেনা পাঠানোর বিল পাস
লিবিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে দেশটিতে সেনা পাঠাতে চায় তুরস্ক সরকার। তুরস্কের পার্লামেন্টে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ বিষয়ে একটি বিল পাস হয়েছে। পার্লামেন্টে বিলটি অনুমোদনের পক্ষে ভোট দেন ৩২৫ জন আইনপ্রণেতা। অন্যদিকে বিলের বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৮৪টি।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারকে সমর্থন দিতে দেশটিতে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিত্র দেশ তুরস্ক। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে, লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়টি অনুমোদন করে তুরস্কের পার্লামেন্টে বিল পাসের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আরব লিগ। আরব লিগ বলেছে, তুরস্ক লিবিয়ায় সেনা পাঠালে দেশটির পরিস্থিতি আরো জটিল হবে। এক বিবৃতিতে আরব লিগ বলেছে, সামরিক হস্তক্ষেপ করে নয়, বরং ‘সুখাইরাত’ চুক্তির ভিত্তিতে লিবিয়ার চলমান সংকটের সমাধান করা সম্ভব। ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্স টুডে এ খবর জানিয়েছে।
তুরস্কের পার্লামেন্টে পাস হওয়া বিলের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও। বিলটি পাস করে তুরস্কের পার্লামেন্ট আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে এক বিবৃতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্তব্য করেছে। এ ছাড়া আলজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাবরি বুকাদুম লিবিয়ায় তুর্কি সেনা পাঠানোর বিরোধিতা করে বলেছেন, তাঁর কাছে লিবিয়ার নিয়ন্ত্রণ থাকলে তিনি কখনোই বিদেশি সেনা গ্রহণ করতেন না।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করছেন জাতিসংঘ স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট ফায়েজ শিরাজ। অন্যদিকে বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতার পূর্বাঞ্চলীয় বেনগাজি শহরে ঘাঁটি গেড়ে কয়েক মাস ধরে ত্রিপোলি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান লিবিয়ার ত্রিপোলিভিত্তিক সরকারকে জেনারেল হাফতারের হামলা থেকে রক্ষা করতে দেশটিতে সেনা পাঠাতে চান।