দীর্ঘ ১০ বছর পর পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ে ভোট

Looks like you've blocked notifications!
দীর্ঘ ১০ বছর পর পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ে হচ্ছে ভোটগ্রহণ। ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১০ বছর পর আজ রোববার পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ে হচ্ছে ভোটগ্রহণ। একই সঙ্গে ভোটগ্রহণ চলছে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে। সেইসঙ্গে উপনির্বাচন হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সমতলের ছয়টি পৌর ওয়ার্ডেও।

এদিন সকাল থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ১০ বছর পর পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) ৪৫টি আসনে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-সহ একাধিক দল এ ভোটে আপত্তি জানিয়ে প্রার্থী দেয়নি।

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতেও চলছে মহকুমা পরিষদের ভোটগ্রহণ। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের সমতলের ছয়টি পৌর ওয়ার্ডেও চলছে ভোটগ্রহণ। এদিন সমতলের দমদম পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড, দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ড, ভাটপাড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড, চন্দননগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড, ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ড ও পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হচ্ছে।

সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ভোট শুরু হতেই একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। পাহাড়ে জিটিএ ভোটের বিরোধিতা করেছে একাধিক দল। তার মধ্যে অন্যতম গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। পাহাড়ের ভোটে এবার দেখা যাবে না বিমল গুরুংকে। প্রথম থেকেই তিনি জিটিএ ভোটের বিরোধিতা করে আসছেন। এর প্রতিবাদে অনশনও শুরু করেছিলেন বিমল গুরুং। গুরুংয়ের এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপিও। বিজেপি, জিএনএলএফ-সহ পাহাড়ের বেশ কিছু দল এবার লড়ছে না ভোটে।

জিটিএ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কার্যত দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলো। এদিকে, এবার ৪৫টি আসনের সবকটিতে প্রার্থী দিয়েছে হামরো পার্টি। এই প্রথম পাহাড়ে পৌরসভা ভোটে জয়ী হয়েছে হামরো পার্টি। অনিত থাপার পার্টি গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ৩৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ১০টি আসনে। সিপিএম ১১টি আসনে আর কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে পাঁচটি আসনে।

৪৫টি কেন্দ্রের মোট ৯২২টি বুথে চলছে ভোটগ্রহণ। তার মধ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা পাঁচটি। জিটিএ নির্বাচনে মোট ২৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটার সংখ্যা সাত লাখ ৩২৬ জন। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন সাড়ে তিন হাজার পুলিশ। অন্যদিকে, শিলিগুড়িতে চলছে মহকুমা পরিষদের নির্বাচন। সেখানে চতুর্মুখী লড়াই চলছে।