দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি চান নেতানিয়াহু

Looks like you've blocked notifications!

দুর্নীতির বিচার চলার মধ্যেই সংসদের কাছে দায়মুক্তি চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি দাবি করেছেন, আইন অনুযায়ী তিনি এ পদক্ষেপ নেবেন।

গত নভেম্বর মাসে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের তিনটি আলাদা অভিযোগ গঠন করেন ইসরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল। তবে তিনি কোনো অন্যায় করেননি বলে দাবি করে আসছেন। তাঁকে দায়মুক্তি পেতে হলে সংসদের অর্ধেকের বেশি সদস্যের সমর্থন পেতে হবে। সেই সমর্থন নেতানিয়াহু পাবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

ইরানি বার্তা সংস্থা পার্স টুডে এক প্রতিবেদনে জানায়, এই মুহূর্তে ইসরায়েলের সংসদ- নেসেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী মার্চের পরে নতুন সংসদ বসতে পারে।

মার্চে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তখন নেতানিয়াহুর দায়মুক্তি আবেদনের ওপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইসরায়েলের আইন অনুযায়ী, নেসেটের সদস্যরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে দায়মুক্তি সুবিধা পান না। পরিস্থিতি অনুযায়ী তাঁরা যদি মনে করেন তাহলে দায়মুক্তির আবেদন করতে পারেন।

দায়মুক্তি পাবেন কিনা তা নির্ধারণ করেন সংসদ সদস্যরা। ক্ষমতাসীন কোনো প্রধানমন্ত্রী একবার অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়। এ জন্য তাঁর সামনে একটি নির্ধারিত সময় থাকে। তার মধ্যে তিনি দায়মুক্তির আবেদন না করলে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়।

ইসরায়েলে জাতীয় নির্বাচন হয়েছে ২০১৯ সালের এপ্রিল ও সেপ্টেম্বর মাসে। ওই নির্বাচনগুলোতে নেতানিয়াহুর ডানপন্থি লিকুদ পার্টির সঙ্গে ক্ষমতা নিয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় মধ্যপন্থি ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির। কোনো দলই সরকার গঠনে সক্ষম হয়নি। ফলে আগামী মার্চ মাসে তৃতীয় দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।