নতুন করে জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে বন্যাকবলিত ভেনিস
ইতালির বন্যাকবলিত শহর ভেনিসে নতুন করে আরো জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। পাঁচ ফুট উচ্চতার এই জোয়ারের পানিতে দুর্ভোগ বেড়েছে ভেনিসবাসীর। বন্যা মোকাবিলায় ইতালি সরকারের লাখ লাখ ইউরো খরচ হচ্ছে।
বন্যার কারণে তৃতীয় দিনের মতো বন্ধ ছিল শহরের সব স্কুলসহ বিশ্বখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র সেন্ট মার্ক’স স্কয়ার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
অনেকগুলো ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে ভেনিস শহরটি গঠিত। শত শত সেতু দ্বীপগুলোর মধ্যে সংযোগ রক্ষা করছে। শহরজুড়ে রয়েছে অনেকগুলো খাল, যেগুলো যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। ভেপোরেত্তি নামের বিখ্যাত ওয়াটারবাসে করে পুরো শহর ঘুরতে পারেন পর্যটকরা। বন্যার কারণে বন্ধ রয়েছে ভেনিস শহরের এই ওয়াটারবাস সার্ভিস।
প্রাকৃতিক জোয়ারের পানিতে ইতালির ভেনিসের প্রায় ৮৫ ভাগ এলাকা ডুবে গেছে। জোয়ারের কারণে গত বৃহস্পতিবার জলরাশি ১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটারে পৌঁছানোর কথা জানিয়েছিল জোয়ার পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। গত ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ জোয়ারের কবলে পড়েছে পর্যটকদের স্বপ্নের এই নগরী। পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শহরের বিখ্যাতসব স্থাপনা, দোকানপাট ও ঘরবাড়ি।
জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ ভাসমান নগরী ভেনিসে বন্যার কারণে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইতালি সরকার।
সরকারের পক্ষ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি মেরামতের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ইউরো এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ ২০ হাজার ইউরো দেওয়া হবে।
জোয়ারের অতিরিক্ত পানিতে সান মার্কোর বেসিলিকাসহ পুরো শহর এবং দ্বীপপুঞ্জের মারাত্মক ক্ষতি করেছে। জানা যায়, এতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এরই মধ্যে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে ভেনিস পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি শুধু ভেনিস কিংবা ইতালি নয়, পুরো বিশ্বের ক্ষতি।
ইতালির আবহাওয়া অফিস সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, গতকাল শুক্রবার পানির উচ্চতা আরো বাড়তে পারে।
ভেনিসে প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দার বাস হলেও প্রতি বছর প্রায় দুই কোটি পর্যটক এখানে আসেন।