নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন ত্যাগ

Looks like you've blocked notifications!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগদান শেষে সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় লন্ডন ত্যাগ করেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি নিউইয়র্কের উদ্দেশে ইংল্যান্ডের রাজধানী ছাড়েন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে স্থানীয় সময় রাত ৮টায় লন্ডনের স্টানস্টেড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার আশেকুন নবী চৌধুরী এ তথ্য জানান।

বিমানটি একই দিন স্থানীয় সময় ২২.৩০টায় নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিতের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর কথা।

যুক্তরাজ্য ত্যাগের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ওয়েস্ট মিনস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁসহ শত শত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ রানির শেষকৃত্যানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

যে ভবনে রানির বিয়ে হয় এবং তিনি রানি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে মুকুট পরিধান করেন, সেই ওয়েস্ট মিনস্টার অ্যাবেতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিতে শেখ হাসিনা সরকারি সফরে লন্ডন পৌঁছান।

যুক্তরাজ্য সফরের চতুর্থ দিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় ফিলিপ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও সম্রাটদের সম্মানে আয়োজিত অভ্যর্থনায় যোগ দেন।

২০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস আয়োজিত সংবর্ধনায় এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এ ছাড়াও তিনি ইউএনএইচসিআর-এর ফিলিপো গ্রান্ডি এবং স্লোলোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। একই দিন তিনি জাতিসংঘে নারী নেত্রীদের প্ল্যাটফর্মেও যোগ দেবেন।

দিনের শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত সংবর্ধনায়ও অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র ও জাতিসংঘ আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের টেকসই আবাসন শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

পরে তিনি ডব্লিউইএফ’র নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর শোয়াব ক্লাউসের সাথে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন এবং গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরসি) চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে যোগ দেবেন।

বিকেলে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদরদপ্তরে পদ্মা সেতুর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন এবং এরপর কসোভোর প্রেসিডেন্ট ড. ভজোসা ওসমানি-সাদ্রিউ, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো মেন্ডোজা এবং রাবাব ফাতিমার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

প্রধানমন্ত্রী ২২ সেপ্টেম্বর দিন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের (এএমআর) উপর একটি প্রাতরাশ বৈঠকে অংশ নেবেন এবং আইওএম মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিটোরিনোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিনি ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন।

পরে, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেচ আক্কা মোহা সেনা পাদেই টেকো হুন সেন এবং আইসিসির প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ এবং করিম খানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।