নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করলেন বলিভিয়ান সিনেটর

Looks like you've blocked notifications!
বলিভিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পাওয়া সিনেট নেতা জেনিন আনেজ। ছবি : সংগৃহীত

নিজেকে বলিভিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন দেশটির সিনেট নেতা জেনিন আনেজ। গতকাল মঙ্গলবার কংগ্রেসের কোরাম সংকটপূর্ণ এক অধিবেশনে জেনিন আনেজ নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেন।

গতকালের কংগ্রেস অধিবেশনে মোরালেসের বামপন্থী দলটির সিনেটররা একে বেআইনি উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণার অধিবেশন বয়কট করেন। এতে কোরাম সংকট দেখা দিলেও জেনিন আনেজের নাম ঘোষণা করা হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের কারণে বিক্ষোভের মুখে গত রোববার পদত্যাগ করেন প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস ও ভাইস প্রেসিডেন্ট আলভারো গার্সিয়া। প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট সরে যাওয়ায় পদাধিকারবলে তাঁর ওপরই হাল ধরার দায়িত্ব বর্তায় বলে দাবি করেন ৫২ বছর বয়সী নারী সিনেটর জেনিন আনেজ।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোয় নেমে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ইভো মোরালেস। সিনেটর আনেজ নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করার নিন্দা জানিয়ে মোরালেস তাঁকে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ আখ্যায়িত করেছেন।

ক্ষমতাসীন জোটের কয়েকটি দল সরে দাঁড়ালে এবং সেনাবাহিনী প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগের আহ্বান জানালে গত রোববার মোরালেস সরকারের পতন হয়। গত ২০ অক্টোবরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, এমন দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভের একপর্যায়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন ১৪ বছর ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা আদিবাসী ও বামপন্থী নেতা ইভো মোরালেস। ভাইস প্রেসিডেন্ট আলভারো গার্সিয়া লিনেরা ও সিনেট প্রেসিডেন্ট আদ্রিয়ানা সালভাতিয়েরা আগেই সরে দাঁড়ান।

গত রোববার নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস জানায়, ২০ অক্টোবরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। সংস্থাটি ওই নির্বাচনের ফল বাতিলের আহ্বান জানায়।

মোরালেস এতে সম্মতি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজিয়ে নতুন নির্বাচন দেওয়ার কথা বললেও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো, সেনাবাহিনী ও পুলিশপ্রধানরা তাঁকে পদত্যাগের আহ্বান জানান।

২০০৬ সাল থেকে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে থাকা দেশটির প্রথম আদিবাসী নেতা মোরালেস গত অক্টোবরে চতুর্থবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হন। কোনো ব্যক্তি তিনবারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হতে পারবেন না, এমন আইন ছিল বলিভিয়ায়। ২০১৬ সালে সাংবিধানিক আদালতের বিতর্কিত রায়ে ওই নির্দেশনা তুলে দেওয়া হয়। প্রার্থী হন মোরালেস। ভোট শেষে ফল গণনা শুরু হলে ২৪ ঘণ্টার জন্য তা স্থগিত করা হয়। পরে প্রতিপক্ষ দলীয় প্রার্থীর চেয়ে ১০ শতাংশের মতো বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হন মোরালেস।