পি কে হালদারের ভাই বললেন, আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে

Looks like you've blocked notifications!
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরে সুকুমার মৃধা নামের পি কে হালদারের এক ঘনিষ্ঠের তিন বাড়িতে অভিযান চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। ছবি : সংগৃহীত

পি কে হালদারের ভাই প্রাণেশ হালদার বলছেন, ‘আমার দাদাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে। বাংলাদেশের লোক আমাকে ও আমাদের ফাঁসাচ্ছে।’

আজ মঙ্গলবার আদালতে যাওয়ার আগে এমন দাবি করেন প্রাণেশ হালদার।

প্রাণেশ হালদার আরও বলেন, ‘আমি এখনও পুরোপুরি বলতে পারছি না এর পেছনে রাজনৈতিক যোগ আছে কি না। এটা আমার বিরুদ্ধে নয় বলে শুনেছি। অনুমান করে কিছু বলা যাবে না। আগে জানতে হবে, সত্য না মিথ্যা।’

তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে (স্পেশাল কোর্ট) তোলার কথা জানা যায়। এর আগে সকালে তাঁকে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের (ইডি) আঞ্চলিক দপ্তর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে মেডিকেল চেকআপ শেষে ফের সাড়ে ৯টার দিকে সিজিও কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদার। তবে, একইসঙ্গে গ্রেপ্তার তাঁর আত্মীয় প্রীতি হালদার বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।’

গত শুক্রবার সকাল থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরে সুকুমার মৃধা নামের পি কে হালদারের এক ঘনিষ্ঠের তিন বাড়িতে অভিযান চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। পরদিন শনিবার ছয় সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হন পি কে হালদার।

জানা গেছে, পি কে হালদার নাম পাল্টে শিবশংকর হালদার নামে পশ্চিমবঙ্গে থাকতেন।

২০০২ সালের ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ)’-এ পি কে হালদারের সঙ্গে গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন—প্রাণেশ কুমার হালদার, স্বপন মিত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে উত্তম মিস্ত্রি, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শারমিন হালদার।

গ্রেপ্তারের পর ছয় জনকে গত শনিবার বিশেষ আদালতে তোলা হলে পি কে হালদারসহ পাঁচ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পি কে হালদারের তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। আর এ সময় একজনকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।

পি কে হালদারের সেই তিন দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। একটি বিশেষ সূত্র বলছে, আজ মঙ্গলবার আদালতে পি কে হালদারকে আবারও রিমান্ডে নিতে আবেদন করবে ইডি।

প্রাথমিক তদন্তে ইডি জানতে পেরেছে—বাংলাদেশ এবং ভারতীয় পাসপোর্টের পাশাপাশি পি কে হালদারের আফ্রিকার দেশ গ্রানাডার পাসপোর্ট ছিল।