প্যানকেক দিবস আজ
প্যানকেক একটি জনপ্রিয় নাস্তার আইটেম। আজ ২১ ফেব্রুয়ারি তারই দিবস। পাতলা ফ্ল্যাট কেক এটি। ময়দা, ডিম, চিনি, মাখন দিয়ে তৈরি করা হয়। আবার অনেক সময় মশলাদার করেও বানানো হয় প্যান কেককে। এ ক্ষেত্রে ময়দা, লবণ, হলুদ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং অন্যান্য মশলার মিশ্রণ দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। পুষ্টিকর উপাদান যোগ করে এগুলোকে স্বাস্থ্যকর করা হয়। বিশেষ করে বাচ্চাদের কাছে মিষ্টি প্যানকেক পছন্দের একটি খাবার।
প্যানকেক ডে যুক্তরাজ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। ঐতিহাসিকভাবে এই দিনে, অ্যাংলো-স্যাক্সন খ্রিস্টানরা উপবাস করত। উপবাস থাকা অবস্থাতেই তারা গির্জায় যেত। তাদের পাপের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করত। এই স্বীকারোক্তির জন্য চার্চে একটি ঘণ্টা বাজানো হতো। এটিকে বলা হতো ‘প্যানকেক বেল’। এই দিনটিতে অনেক পরিবার তাদের বাড়িতে ডিম এবং অন্যান্য ফ্যাট জাতীয় উপাদান, যেমন : চিনি, মাখন ব্যবহার করে একতা কেক বানাত। এরপর থেকেই এই দিনটি ‘প্যানকেক ডে’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
জানা যায় যে, প্রাচীন গ্রীকরা প্যানকেক তৈরি করত। সে সময় গমের আটা, জলপাই তেল, মধু এবং দইযুক্ত দুধ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল প্যানকেক। এরপর ১৫ শতকের দিকে ‘প্যানকেক’ শব্দটি ব্যবহার করা শুরু হয়। ১৯ শতকে এর জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। এর আগে এগুলি ভারতীয় কেক, হো কেক, জনিকেক, যাত্রা কেক, বাকউইট কেক, গ্রিডল কেক এবং ফ্ল্যাপজ্যাক নামেও পরিচিত ছিল।
প্যানকেকের সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে চুলায় ভেজে নিতে হয়। এরপর এর উপর মিষ্টিজাতীয় সিরাপ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে, ম্যাপেল সিরাপ সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এরপর এর উপর নানা রকম ফল দিয়ে সাজানো হয়। অনেক সময় হুইপড ক্রিম দিয়েও পরিবেশন করা হয় প্যানকেক।
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্যানকেক ফ্রান্সে পাওয়া যায়। এর স্বাদ হয় অতুলনীয়। আমাদের দেশেও আজকাল অনেকেই নাস্তা হিসেবে এই প্যানকেক খেয়ে থাকে। বাচ্চাদের টিফিনে এটি খুবই স্বুসাদু একটি খাবার।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস/হিস্টরিক ইউকে