প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতির

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান গতকাল শুক্রবার এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পর্তুগালের রাষ্ট্রপতি প্রফেসর মারসেলোর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন। ছবি : সংগৃহীত

পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের কর্মদক্ষতা এবং আন্তরিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি প্রফেসর মারসেলো রেবেলো দ্য সোজা। তাঁর কাছে পর্তুগালে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান গতকাল শুক্রবার পরিচয়পত্র পেশকালে তিনি এ প্রশংসা করেন বলে লিসবনের বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

তারিক আহসান রাজধানীতে অবস্থিত পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন প্যালাসিও দ্য বেলেমে আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে পর্তুগালের রাষ্ট্রপতি প্রফেসর মারসেলোর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন।

রাষ্ট্রদূত মোটর শোভাযাত্রা সহযোগে ’বাংলাদেশ ভবন’ হতে ‘প্যালাসিও দ্য বেলেম’ পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকসদল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। রাষ্ট্রদূতের সালাম গ্রহণকালে বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

পর্তুগালের রাষ্ট্রপতির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র প্রদানকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পর্তুগিজ সম্প্রদায়বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেরতা নুনেস, রাষ্ট্রপতির কূটনৈতিকবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা অ্যানা মাটির্নও, রাষ্ট্রাচার প্রধান ক্লারা নুনেজ দস সান্তোস, রাষ্ট্রপতির অসামরিক ও সামরিক উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব আব্দুল্লাহ আল রাজী উপস্থিত ছিলেন।

পরিচয়পত্র পেশের পর পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একটি সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূত তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।

বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান ‘৫০০ বছরের’ ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বর্তমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো জোরদার করার ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা গ্রহণের সংকল্প ব্যক্ত করেন।

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে সম্প্রতি বাংলাদেশের নিজস্ব দূতাবাস ও বাংলাদেশ ভবন ক্রয়ের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত অনুরূপভাবে ঢাকায়ও পর্তুগিজ দূতাবাস স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনার জন্য পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন।

পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতি রাষ্টদূতের উত্থাপিত বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে শুনেন এবং রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও শান্তি কামনা করে তাদের শুভেচ্ছা প্রেরণ করেন।

সম্প্রতি প্রথম (১৮ শতকের) বাংলা-পর্তুগিজ অভিধানের পুনঃমুদ্রণের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন যে, বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জনগণের এই ঐতিহাসিক সম্পর্ক অদ্যাবধি বিদ্যমান। তিনি বাংলাদেশ ও পর্তুগালের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রপতি লিসবনে বাংলাদেশের নিজস্ব দূতাবাস ক্রয়ের সংবাদে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এর ফলে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো বেগবান হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে পর্তুগিজ দূতাবাস স্থাপনের বিষয়টি পর্তুগিজ সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে তিনি রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।