বলিভিয়ায় মোরালেস সমর্থকদের রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ, ‘নিহত ৫’

Looks like you've blocked notifications!

সংঘাতপূর্ণ বলিভিয়ার দেশ ছেড়ে পালানো সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের সমর্থক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বলিভিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর সাকাবায় কর্মরত একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, গতকাল শুক্রবার হতাহত ব্যক্তিদের বেশিরভাগের শরীরেই বুলেটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড নিউজের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। তবে কেউ নিহত হওয়ার কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি বলিভিয়া কর্তৃপক্ষ।

মোরালেস ২০ অক্টোবরের নির্বাচনে চতুর্থ মেয়াদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বলিভিয়া সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। বিরোধীরা জালিয়াতির অভিযোগ এনে মোরালেসের বিজয় মেনে নিতে অস্বীকার করেন।

দেশের সশস্ত্র বাহিনী সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর মোরালেস গত রোববার পদত্যাগ করেন এবং জীবনের ওপর হুমকি টের পেয়ে তিনি মেক্সিকোতে আশ্রয় চেয়ে আশ্রয় পান। এখন তিনি সেখানেই রয়েছেন।

এদিকে কয়েকদিন আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর বলিভিয়ার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট জিনাইন আনেজ বলেছিলেন, দেশে ফিরলে মোরালেসকে বিচারের আওতায় আনা হতে পারে। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হলে গতকাল শুক্রবার মোরালেস বিবিসিকে বলেন, অক্টোবরের বিতর্কিত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাঁর বিরুদ্ধে আনা যায় এমন কোনো অভিযোগের ঘটনাই ঘটেনি।

বলিভিয়ায় গতকাল শুক্রবারের সংঘর্ষের বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মোরালেসের দেশে ফেরার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভরত সমর্থকদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।

স্থানীয় একটি হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে বার্তা সংস্থা এএফপির এক সংবাদকর্মী পাঁচজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।

ইভো মোরালেসকে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রস্তাব দেন আর্জেন্টিনার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ।

উরুগুয়ের রাজধানী মন্টিভিডিওতে আলবার্তো ফার্নান্দেজ বলেন, ডিসেম্বরে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর দেশে মোরালেসকে স্বাগত জানানো হবে ‘সম্মানের’ ব্যাপার।

উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট তাবারে ভাসকুয়েজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা ফার্নান্দেজ আশ্রয়ের এ প্রস্তাব মোরালেসের ভাইস প্রেসিডেন্টকেও দিয়েছেন।

আর্জেন্টিনাকে মোরালেসের বাড়ি উল্লেখ করে ফার্নান্দেজ বলেন, ‘যদি আমি (তখন) প্রেসিডেন্ট থাকতাম, তাহলে প্রথমদিনই তাঁকে আশ্রয়ের প্রস্তাব দিতাম।’