বাগদাদ বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানি জেনারেলসহ নিহত ৮
ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর্যুপরি রকেট হামলায় ইরানি রেভল্যুশনারি গার্ডসের অভিজাত কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিসহ অন্তত আটজনের প্রাণহানি হয়েছে। ইরাকের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জেনারেল সোলেইমানির নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এ হামলা চালিয়েছে। জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যা করে আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে পেন্টাগনের ওই বিবৃতিতে বলা হয়।
আজ শুক্রবার ভোরে উপর্যুপরি তিনটি রকেট হামলা হয়। এতে ইরাকি আধাসামরিক বাহিনীর পাঁচজন এবং দুজন বিদেশি রয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। হামলায় দুটি গাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।
হামলার পরপর মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাগদাদ বিমানবন্দরে রকেট হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র্রের বাহিনী। ইরানি জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়েছে।
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের হেলিকপ্টার হামলায় জেনারেল সোলেইমানি নিহত হয়েছেন। তারা অবশ্য হামলায় ইরাকি মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল-মুহান্দিসও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে।
বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা ও মার্কিন সেনাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের কয়েক দিনের মাথায় এ হামলার ঘটনা ঘটল। সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন বিমান হামলায় ২৫ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহতের পর তাদের জানাজায় অংশ নিয়ে বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ ইরাকিরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার ওই সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে বলেন, এ অঞ্চলে মার্কিন সেনা ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
এক বিবৃতিতে মার্ক এসপার আরো বলেন, ‘আমাদের ওপর হামলা হলে আমরা ঠিক সময়, জায়গামতো জবাব দেব। আমরা ইরানকে এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’