বিক্ষোভ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি

যুক্তরাষ্ট্রে শনিবার রাতে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় দেশটির প্রধান নগরীগুলোতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। বিক্ষোভ দমনে পুলিশকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া নির্দেশ ও সতর্কতা উপেক্ষা করে ক্ষুব্ধ জনতা শনিবার রাতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করে।
গত সোমবার মিনিসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফয়েডকে আটককালে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে তার মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশব্যাপী হাজার হাজার লোক রাস্তায় বিক্ষোভ করে এবং সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।
শনিবার রাতে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় লস এঞ্জেলেস, আটলান্টা, ফিলাডেলফিয়াসহ আরো অনেক নগরীতে লোকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফয়েডকে আটকের পর এক পুলিশ কর্মকর্তা তাঁকে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে নয় মিনিট ঘাড় চেপে ধরে রাখেন এবং এতে ফয়েডের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনা কালোদের বিরুদ্ধে পুলিশের বর্বরতার প্রতীকে পরিণত হয় এবং ব্যাপক সামাজিক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
লস এঞ্জেলেসে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়েছে, বিক্ষোভকারীরা এ সময় পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, এদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। শিকাগো এবং নিউইয়র্কেও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে, অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মিনিয়াপোলিসে সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার জন্য চরম বামদের অভিযুক্ত করে ট্রাম্প বলেছেন, দাঙ্গাকারীরা ফয়েডের স্মৃতির প্রতি অমর্যাদা করেছে।