বিশ্বের শীর্ষ অসুখী দেশের তালিকায় ২০তম বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : রয়টার্স

ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট -২০২৩ অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ ২০টি অসুখী দেশের তালিকায় উঠে এসেছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ২০তম। আর প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান। মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন লেবানন রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। হতাশাজনক তালিকার ১২তম অবস্থানে থাকা ভারত আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশের তুলনায় ‘অসুখী’।

ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুসারে, টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্কের তত্ত্বাবধানে প্রতিবেদনটি প্রতি বছর আন্তর্জাতিক সুখ দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত হয়।  যা আজ (২০ মার্চ) পালিত হচ্ছে।

এতে বলা হয়েছে, দেশগুলোকে গ্যালাপ ওয়ার্ল্ড পোলের মতো উৎস থেকে পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে ছয়টি প্রধান বিষয় বিবেচনা করে র‌্যাংঙ্ক করা হয়েছে। এগুলো হলো—সামাজিক সমর্থন, আয়, স্বাস্থ্য, স্বাধীনতা, উদারতা এবং দুর্নীতির অনুপস্থিতি।

প্রতিবেদন অনুসারে, এই দেশগুলোর গড় জীবন মূল্যায়নও রয়েছে, যা ১০টি সুখী দেশের তুলনায় পাঁচ পয়েন্টেরও বেশি কম (শূন্য থেকে ১০ পর্যন্ত চলমান স্কেলে)।

বিশ্বের ২০টি অসুখী দেশ

১. আফগানিস্তান, ২. লেবানন, ৩. সিয়েরা লিওন, ৪.  জিম্বাবুয়ে, ৫. কঙ্গো, ৬. বতসোয়ানা, ৭. মালাউই, ৮.  কমোরোস, ৯.  তানজানিয়া, ১০.  জাম্বিয়া, ১১.  মাদাগাস্কার, ১২.  ভারত, ১৩. লাইবেরিয়া, ১৪.  ইথিওপিয়া, ১৫.  জর্ডান, ১৬.  টোগো, ১৭.  মিশর, ১৮.  মালি, ১৯.  গাম্বিয়া, ২০.  বাংলাদেশ

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০১২ সালে ২০ মার্চকে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস হিসেবে মনোনীত করে। তারপর থেকে, ক্রমবর্ধমান সংখ্যক ব্যক্তি মনে করে যে দেশ হিসাবে সাফল্য নাগরিকদের সুখ দ্বারা পরিমাপ করা উচিত। কীভাবে সুখের পরিমাণ নির্ধারণ করা যায় সে সম্পর্কেও উদীয়মান চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির কারণে, সরকারগুলো এখন জাতীয় সুখকে একটি কর্মক্ষম লক্ষ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নর্ডিক দেশগুলো বিশেষ মনোযোগের দাবিদার, ফিনল্যান্ড বিশ্বের ‘সুখী দেশগুলোর’ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। কারণ, তাদের ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক উভয় ক্ষেত্রেই সাধারণত উচ্চ স্তরের আস্থা রয়েছে। ‘তাদের কোভিড-১৯ মৃত্যুর হারও ২০২০ এবং ২০২১ সালে পশ্চিম ইউরোপের বাকি অংশের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ ছিল। নর্ডিক দেশগুলোতে প্রতি এক লাখে ২৭ জন যেখানে পশ্চিম ইউরোপের বাকি অংশে ছিল ৮০ জন।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিনল্যান্ডের পরে অন্যান্য শীর্ষ সুখী দেশগুলো হলো—ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, ইজরায়েল এবং নেদারল্যান্ডস।