ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলাদেশের কন্টিনজেন্ট

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি সমন্বিত প্যারেড কন্টিনজেন্ট আজ মঙ্গলবার ভারতের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিল্লির রাজপথে প্যারেডে অংশগ্রহণ করে। ছবি : আইএসপিআর

ভারতের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস আজ ২৬ জানুয়ারি। এই প্রথম ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে কুচকাওয়াজে অংশ নিলেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি সমন্বিত প্যারেড কন্টিনজেন্টের ১২২ সদস্য। ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি আজ বাংলাদেশের জওয়ানদের মার্চপাস্ট আলাদা নজর কেড়েছে।

বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতীয় হাইকমিশনের আমন্ত্রণে আজ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি সমন্বিত কন্টিনজেন্ট (মার্চিং ব্যান্ডসহ) ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস প্যারেডে অংশগ্রহণ করেছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মো. শাহনুর শাওনের নেতৃত্বে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস প্যারেড কন্টিনজেন্টটি আজ সকাল ১০টা ৩৭ মিনিটে রাজপথে আয়োজিত ভারতের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস প্যারেডের সম্মানিত প্রধান অতিথিকে সালাম প্রদর্শন করে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, কুচকাওয়াজ শেষে আগামী ৩০ জানুয়ারি উক্ত সমন্বিত কন্টিনজেন্টটি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবে। ওই কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের সশস্ত্র বাহিনীসহ সব রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে সবাই আশাবাদী।

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আজ সকালে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে অবস্থিত ওয়ার মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে পরম্পরা মেনে ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের তিন বাহিনীর প্রধানও। তবে এ বছর কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে অন্যান্যবার যেখানে প্যারেড ও কুচকাওয়াজ দেখতে প্রায় এক লাখ লোকের উপস্থিতি থাকত এবার সেখানে তা কমিয়ে মাত্রা ২৫ হাজার করে দেওয়া হয়। কমানো হয় প্যারেডে অংশ নেওয়া জওয়ানদের সংখ্যাও।

এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে এই প্রথমবার ছিল সিআরপিএফ ট্যাবলো।

এদিন সকালে প্রায় শূন্য দর্শক নিয়ে শুরু হয় দিল্লির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান। বিশেষ জামনগরের পাগড়ি পরে কুচকাওয়াজে অংশ নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

জানা যায়, এই পাগড়িটি মোদিকে উপহার দেয় গুজরাটের জামনগরের রাজপরিবার। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মোদির পরনে ছিল লাল পাগড়ি, সাদা পাঞ্জাবি ও একটি ছাই রঙের জহর কোট। কাঁধে ছিল ক্রিম রঙের চাদর।

এবারে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে মোট ৩২টি ট্যাবলো প্যারেডে অংশ নেয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে ১৭টি ট্যাবলো, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের তরফে নয়টি এবং প্রতিরক্ষা বিভাগের তরফে ছয়টি ট্যাবলো অংশ নেয়।

এদিন এক ভিডিওবার্তায় ভারতের সংবিধানের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

কুচকাওয়াজে রাফাল যুদ্ধবিমান ওড়ান ভারতীয় বায়ুসেনার প্রথম নারী পাইলট ভাবনা কান্ত। এদিন কুচকাওয়াজে ভারতীয় সেনাবাহিনী ট্যাংক টি-৯০ ট্যাংক, ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র, পিনাকা রকেট সিস্টেমসহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র প্রদর্শন করে।

রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস।