ভারতের প্রথম বেসরকারি রকেটের সফল উৎক্ষেপণ

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : সংগৃহীত

মহাকাশ গবেষণায় ফের সাফল্য পেয়েছে ভারত। এতদিন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) সব অভিযান পরিচালনা করেছে। এবার বেসরকারিভাবে তৈরি রকেটেরও সফল উৎক্ষেপণ হলো। রকেটটি সমুদ্রে ছিটকে পড়ার আগে ৮৯ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছায়।

শুক্রবার চেন্নাইতে ইসরোর লঞ্চ সাইট থেকে বিক্রম-এস রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে হায়দ্রাবাদের সংস্থার তৈরি রকেটটি মহাকাশে পাড়ি দেয়।

সরকার পরিচালিত মহাকাশ কর্মসূচির পাশাপাশি বেসরকারিভাবে স্পেস সেক্টর বা মহাকাশ খাত তৈরি করতে ভারত চেষ্টা করছে। এই নিয়ে কাজ চলছিল অনেকদিন ধরেই। ‘প্রারম্ভ’ নামের রকেটটির ওজন ৫৪৫ কেজি। এটি ৮৯.৫ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছায়। তবে, ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় কারমান রেখা পর্যন্ত রকেটটি পৌঁছাতে পারেনি। এই রেখা পৃথিবীকে মহাকাশ থেকে আলাদা করে।

এই উৎক্ষেপণটি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) সরাসরি সম্প্রচার করেছে। ইসরোর কর্মকর্তারা জানান, উৎক্ষেপণের প্রায় পাঁচ মিনিট পর অবশেষে বঙ্গোপসাগরে আছড়ে পড়ে রকেটটি।

বাণিজ্যিক মহাকাশ অভিযানের তত্ত্বাবধান করছে ভারতের সরকারি সংস্থাটি। সেখানকার প্রধান পবন গোয়েঙ্কা বলেন, ‘আমি মিশন প্রারম্ভের সফল সমাপ্তির কথা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত।’

রকেট নির্মাণকারী স্টার্ট-আপ স্কাইরুট অ্যারোস্পেস জানিয়েছে, এটি কার্বন কম্পোজিট স্ট্রাকচার এবং থ্রিডি-প্রিন্টেড উপাদান দিয়ে নির্মিত। এটি ‘সিঙ্গল স্টেজ’, ‘সলিড ফুয়েল’ রকেট। স্কাইরুট ছোট উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য নির্মাণ খরচ বর্তমানের তুলনায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে চায়। পরের বছর থেকে এটি কৃত্রিম উপগ্রহ অর্থাৎ, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে চায়।

 

ভারতের মহাকাশ গবেষণার জনক বিক্রম সারাভাইয়ের নামে স্কাইরুটের বিক্রম-এস মিশনের নামকরণ করা হয়েছে।

কম খরচে উৎক্ষেপণ এবং অভিযানের জন্য বিখ্যাত ভারতের মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্র। তাই জনগণের দ্বারা অর্থায়িত মহাকাশ কর্মসূচির পাশাপাশি, ভারত সরকার একটি বাণিজ্যিক স্পেস সেক্টর তৈরি করতে কাজ করছে। ২০২০ সালে ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মহাকাশে পাড়ি দিতে রকেট বানাতে পারবে বেসরকারি সংস্থা। কৃত্রিম উপগ্রহ এবং জরুরি যন্ত্রপাতিও বানাতে পারবে। 

২০১৪ সালে ইসরোর মঙ্গলযান অরবিটারের মাধ্যমে ভারত প্রথম এশীয় দেশ হিসেবে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছায়। এটি নির্মাণে সাত কোটি ৬৫ লাখ ৯০ হাজার ইউরো খরচ হয়েছে। অক্টোবরে ইসরো ৩৬টি ব্রডব্যান্ড স্যাটেলাইট সফলভাবে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করে।