‘ভেঙে পড়তে পারে জাপানের চিকিৎসা ব্যবস্থা’

জাপানে যে হারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, এভাবে বাড়তে থাকলে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির চিকিৎসকরা। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় অতিরিক্ত চাপের ফলে অন্য গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এরই মধ্যে দেখা যায়, করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় এক ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ৮০টি হাসপাতাল ঘুরে আসতে হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালগুলো তাঁকে দেখার আগেই ফিরিয়ে দিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল, জাপানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এরই মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার পেরিয়েছে। এ ছাড়া মৃত্যু হয়েছে ২০৭ জনের। এর মধ্যে দেশটির রাজধানী টোকিওতে করোনার প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। এদিকে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চাপ কমাতে শহরের জিপি সার্জারির চিকিৎসকদের একটি দল করোনা পরীক্ষায় সহায়তা করছে।
জিপি সার্জারির একটি সংস্থার উপপ্রধান কনোশিন তামুরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘এটি হলো চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ভেঙে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করা। সবারই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। অন্যথায় হাসপাতালগুলো ভেঙে পড়বে।’
এদিকে, দুটি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বলছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে হাসপাতালগুলো অন্যান্য জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থায় তাদের সক্ষমতা হারাচ্ছে। এর মধ্যেই হাসপাতালগুলো রোগীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে। খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাওয়া অন্যান্য দেশের তুলনায় জাপানের অবস্থা তুলনামূলক ভালো থাকার পরও এমনটি হচ্ছে।
এদিকে, জাপানে সুরক্ষা সরঞ্জামের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন দেশটির চিকিৎসকরা। যা থেকে বোঝা যায়, জাপান করোনাভাইরাস ঠেকাতে যথেষ্ট প্রস্তুত নয়। যদিও চীনের পর শুরুর দিকে করোনায় আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে জাপান একটি।
এরই মধ্যে অর্থনৈতিক প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় করোনা ঠেকাতে তেমন বিধিনিষেধ আরোপ না করায় সমালোচিত হয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
এর আগে করোনা ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানোয় টোকিওর গভর্নরের সঙ্গে শিনজো আবের সরকারের বিরোধ দেখা দেয়।
এদিকে, করোনা অনেক আগে আঘাত হানলেও গত বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন শিনজো আবে।